অধিনায়কত্বের ভুল:
ভাল ক্রিকেটার মানেই যে সে ভাল অধিনায়ক হবে এমনটা কোনও ধরাবাধা নিয়ম নেই। রোহিত শর্মা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ফলে ভারতীয় টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহর কাঁধে পরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। এজবাস্টনে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণকারী পঞ্চম টেস্টে ক্রিকেটা কেরিয়ারে প্রথম বার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানো বুমরাহ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যথপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর অনভিজ্ঞতার খেসারত দিয়ে হয়েছে দলকে। ফিল্ডিং প্লেসিংয়েও ছিল গলদ।
ব্যাটিং ব্যর্থতা:
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে গালভরা নাম থাকলেও কাজের সময়ে সবই 'অচল পয়সা'। শুভমন গিল থেকে শুরু করে, শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা-সবই ঊনিশ আর বিশ। প্রথম ইনিংসে ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাডেজা ইংল্যান্ডের বোলিং অ্যাটাকের সামনে রুখে দাঁড়াতে না পরালে পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়াতো না ম্যাচ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার সিলসিলা জারি ছিল। ফলে যেটা হওয়ার তেমনটাই হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ঋষভ-জাডেজা ৪১৬ রান পর্যন্ত ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তা গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে।
বোলারদের ধারাবাহিকতার অভাব:
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে যে মারণ ক্ষমতা দেখা গিয়েছিল তা দেখা যায়নি চতুর্থ ইনিংসে। একমাত্র মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া বাকি প্রত্যেক বোলারকে অফ কালর দেখিয়েছে। মহম্মদ সিরাজ চতুর্থ ইনিংসে প্রচুর রান খরচ করেন।
নতুন রূপে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইংল্যান্ড:
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে নতুন ঢেউ এসেছে। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ হয়ে আসার পর এবং বেন স্টোকসের হাতে অধিনায়কত্বের ব্যাটন ওঠার পর অপ্রতিরোধ্য লাগছে ইংল্যান্ডকে। ইংলিশ দলটি ঘরে মাঠে নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার পর ভারতের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসেরক সঙ্গে প্রথম বোলিং নিয়ে যে ভাবে রান তাড়া করে জিতেছে তাতে বোঝা যায় দলটির আত্মবিশ্বাস শীর্ষে রয়েছে। ব্যাটিং এবং বোলিং লাউনআপ উভয়ই ফর্মে রয়েছে। ফলে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস এবং সাফল্যে।