সহজেই জানা যাবে করোনা ভ্যারিয়েন্ট
ব়্যাপিড পরীক্ষাই বলে দিচ্ছে করোনার ভ্যারিেয়ন্টের কথা। কোন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। মার্কিন বিজ্ঞানীরা তৈরি করে ফেলেছে সেই নতুন যন্ত্র। তার নাম কোভারস্ক্যান (CoVarScan)। একটা ব়্যাপিড কিটে ৪০০০ জনের পরীক্ষা করা যাবে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই তার পরীক্ষা করে ফেলেেছ।
১ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশ
মার্কিন গবেষকরা দাবি করেছেন এই ব়্যাপিড কিট এক ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেহে কোন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ব্যক্তির শরীরে। আগে ব়্যাপিড টেস্টে কেবল মাত্র করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করা হত। কোন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেটা জানা যেত না। তার জন্য জেনম সিকোয়েন্স করতে হত। এই জেনম সিকোয়েন্স করে করোনার ভ্যারিয়েন্ট জানতে জানতেই অনেকটা ছড়িয়ে পড়ত সংক্রমণ। কিন্তু কোভিড চিহ্নিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে যদি করোনা ভ্যারিয়েন্টও চিহ্নিত করা যায়। তাও আবার এত অল্প সময়ের মধ্যে তাহলে একেবারেই বদলে যাবে ছবিটা। করোনা সংক্রমণ নিমেষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
ভিন্ন মত
যদিও অনেক গবেষক দাবি করেছেন ব়্যাপিট পরীক্ষা সবসময় সঠিক হয় না। অনেকেরই ব়্যাপিড পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে না। কিন্তু আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ে করোনা সংক্রমণ। কাজেই এই ব়্যাপিড কিট কতটা সঠিক রিপোর্ট দেবে সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁরা বারবার জেনম সিকোয়েন্সের উপরেই জোর দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন ব়্যাপিট টেস্টে ভ্যারিয়েন্ট জানা গেলেও তার জেনম সিকোয়েন্স করা জরুরি।
ভারতে নতুন ভ্যাকিয়েন্টের হদিশ
এদিকে আবার ভারতে করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেেছ। ইজরায়েলি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসিয়েছে। সাত রাজ্যে তার সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও আইসিএমআর এই নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন। তাঁরা জানিয়েছেন এই কোভিড ভ্যারিয়েন্ট এখনও তেমন মারাত্মক আকার নেয়নি। তাই এই নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।