দুর্নীতির শক্তি ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। সেই শক্তিকে হারিয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা কতটা নিরাপদ থাকতে পারবে, সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে অন্য বিচারপতিকে বদলির হুমকি দেন। বেঙ্গালুরুতে আরবান ডেপুটি কমিশনারের অফিসে ঘুষের মামলায় এক বিচারপতি এই অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তের জামিনের শুনানির ঠিক আগে ভরা আদালত চত্বরে তিনি সহকর্মীর কাছ থেকে ট্রান্সফারের হুমকি পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। কর্ণাটকের হাইকোর্টের এক বিচারপতি এই মন্তব্য করেন।
কী বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি
অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেশ খোলা সোমবার আদালতে হুমকির কথা উল্লেখ করেন। তিনি সন্ত্রাস দমন ব্যুরোর আইনজীবীকে বলেন, 'আপনাদের এডিজিপি খুব শক্তিশালী।' বিচারপতি সন্দেশ খোলা বলেন, 'এক সহকর্মী বলেছেন, আমার বদলি হতে পারে। কারণ এডিজিপি আমার মন্তব্যে মোটেই খুশি নন। তিনি আমার পাশে বসে এই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন।
সেই বিচারকের নাম বলতে আমার দ্বিধা নেই। ওই সহকর্মী আমাকে এমন অনেক বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের উদাহরণ দিয়েছিলেন, যাঁদের বদলি করা হয়েছে। আমি বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা রক্ষা করার চেষ্টা অতীতেও করেছি। এখনও করছি।' সন্ত্রাস দমন ব্যুরোর এডিজিপি সীমান্ত কুমারের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বদলির হুমকির অভিযোগ আনলেন।
এই হুমকির প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, 'আমি কাউকে ভয় পাই না। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে আমি প্রস্তুত। বিচারক হওয়ার পর অবৈধ উপায়ে আমার কোনও সম্পত্তি হয়নি। পদ হারালে আমার কিছু যায় আসে না। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি কোনও রাজনৈতপিক মতাদর্শ মেনে চলি না।'
কেন হুমকি পেলেন হাইকোর্টের বিচারপতি
বেঙ্গালুরুতে আরবান ডেপুটি কমিশনারের জে মঞ্জুনাথের অফিসে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধ মামলায় ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ডেপুটি তহসিলদার মহেশ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী চেতন ধরা পড়েন। মহেশ আদালতে একটি বিবৃতি জমা করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, মঞ্জুনাথের নির্দেশে তিনি ঘুষ নিতে গিয়েছিলেন।
এই বিবৃতির পরেও এফআইআরে মঞ্জুনাথের নাম নেই। মহেশের জামিনের শুনানির সময় বিচারপতি সন্দেশের বেঞ্চ মঞ্জুনাথের নাম নেই কেন বলে প্রশ্ন তুলেছিল। পাশাপাশি হাইকোর্ট জানায়, সন্ত্রাস দমন ব্যুরো বা এসিবি আদতে দুর্নীতির কেন্দ্র হয়ে গিয়েছে। আদালত তীব্র ভর্ৎসনা করে বলে, বর্তমানে এসিবি বা দুর্নীতি দমন ব্যুরো একজন অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্থ এডিজিপির নেতৃ্ত্বে কাজ করছে। এই মন্তব্যের পরেই বিচারপতি সন্দেশ খোলা হুমকির মুখে পড়লেন।
রড লুকিয়ে মমতা'র বাড়িতে ঢোকে হাফিজুল! জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের কাছে