দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণে অনেকটাই পতন, কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও

গতকালের চেয়ে অনেকটাই কমেছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। ১৬ হাজার থেকে ১৩ হাজারে নেমে এসেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,০৮৬ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১৬,১৩৫। কমেছে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৯ জন। এদিকে আবার ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইজরায়েলি গবেষকদের।

করোনার দৈনিক সংক্রমণে পতন কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে উর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ভাবিেয় তুলেছিল সকলকে। একাধিক রাজ্য করোনা মোকাবিলায় কোভিড বিধি কড়া করেছিলেন। মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু,পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গতকয়েক দিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১৫ জন। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজারের ঘরে। কেরলেও করোনা সংক্রমণে পতন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২২ জন। ৪ হাজারের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তামিলনাড়ুতেও গতকালের চেয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ২৬৫৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩২ জন। অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

এদিকে আবার ইজরায়েলি গবেষকরা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। তাঁরা দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেেছ।নোভেল করোনাভাইরাসের নয়া রূপ BA.2.75 ধরা পড়েছে ভারতে। ভারতের ১০টি রাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিসেন্টের হদিশ মিলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ইজরায়েলি গবেষকদের দাবি ২ জুলাই পর্যন্ত ভারতের যে রাজ্যগুলিতে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে সেগুলি হল, মহারাষ্ট্রে ২৭, পশ্চিমবঙ্গে ১৩, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তরপ্রদেশে এক জন করে, হরিয়ানায় ৬ জন, হিমাচলপ্রদেশে ৩ জন, কর্নাটকে ১০ জন, মধ্যপ্রদেশে ৫ জন এবং তেলঙ্গানায় ২ জন।

তবে শুধু ভারত নয় আরও সাতটি দেশে নাকি করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। তবে আইসিএমআরের গবেষকরা দাবি করেেছন এই নিয়ে এখনই এত উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ যে ভ্যারিয়েন্টের কথা ইজরায়েলি গবেষক জানাচ্ছেন সেই ভ্যারিেয়ন্তে তেমন তেজ নেই। অর্থাৎ সেই ভ্যারিয়েন্ট তেমন ভয়াবহ কিছু করে উঠতে পারেনি এখনো। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সামান্য উপসর্গই দেখা গিয়েছে। তাঁদের কারোর মারা যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি। কাজেই এই নিয়ে এখন দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন আইসিএমআরের গবেষকরা।

More CORONAVIRUS News  

Read more about:
English summary
Coronavirus Daily infection cross 13,086 on 5 July in India