পুরো একশো শতাংশ ফিট না হয়েও উইম্বলডনে যে ফর্ম দেখাচ্ছেন রাফায়েল নাদাল তাতে দেখে মনে হয় বয়স বাড়ার বদলে কমছে নাদালের। শনিবার রাত্রে ইতালির লোরেঞ্জো সোনেগোকে ৬-১, ৬-২, ৬-৪ উড়িয়ে উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন নাদাল। সম্পূর্ণ ফিট না হয়ে তিনি যদি এমন টেনিস উপহার দেন তা হলে সম্পূর্ণ ফিট হলে নাদাল নিজেকে কোন উচ্চতায় মেলে ধরতে পারেন তা ভাবলেই প্রতিপক্ষের রাতে ঘুম উড়ে যেতে বাধ্য।
চতুর্থ রাউন্ডে স্প্যানিশ মহাতারকার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বোটিক ভান ডি জান্ডস্কুল্প। যেই দাপটের সঙ্গে ঘাসের কোর্টে খেলছেন নাদাল তাতে তাঁর কেরিয়ারের ২৩ নম্বর গ্র্যান্ডস্ল্যামটি এই মেগা ইভেন্ট থেকে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উইম্বলডনে শেষ দুই রাউন্ডে একটি করে সেট হারলেও শনিবার রাত্রের এই ম্যাচে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন নাদাল। প্রথম দুই সেটে ইতালির প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই তিনি দেননি। তৃতীয় সেটে সোনেগো লড়াই করলেও নাদালকে আটকাতে পারেননি।
গত বার উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত যাওয়া সোনেগো আশায় ছিলেন এই বারও চতুর্থ রাউন্ড বা তার বেশি এগোবেন কিন্তু ২৭ নম্বর বাছাইকে বেশ বেগ পেতে হয়। ২৭ মিনিটের মধ্যে তিনি প্রথম সেটে হেরে যাওয়ায় তখনই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল।
টেনিসের ইতিহাসে সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী টেনিস তারকা নাদাল। সেই সংখ্যা এ বারের উইম্বলডন জিতে বাড়িয়ে নেওয়া লক্ষ্য বাম হাতি এই টেনিস তারকার। ইতিমধ্যেই মরসুমের প্রথম দুই গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন নাদাল। অস্ট্রেলীয় ওপেনে জয়ের ধ্বজা ওড়ানোর পর নাদার জিতেছেন ফরাসি ওপেনে। শেষবার ২০১০-এ ঘাসের কোর্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নাদাল।
অপর দিকে, টেনিসের সেরার সেরা টুর্নামেন্ট উইম্বলডন থেকে ছিটকে গিয়েছেন স্টেফানসো সিসিপাস। অস্ট্রেলিয়ার তারকা নিক কির্গিয়সের কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। সিসিপাসের বিরুদ্ধে খেলার ফল ৬-৭, ৬-৪, ৬-৩, ৭-৬।