কোন কোন রাজ্যকে টার্গেট করল বিজেপি
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক অমিত শাহ বলেছেন, তিনি চানা, তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে পারিবারিক শাসনের অবসান ঘটাতে। সেইসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও ওড়িশাতেও ক্ষমতায় আসতে চান তারা। একইসঙ্গে তিনি সিপিএম পরিচালিত কেরালাতেও পরিবর্তন আনতে চান বলে জানিয়েছে। তাঁর কথায়, বিজেপি শীঘ্রই তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় সরকার গঠন করবে।
৩০ থেকে ৪০ বছর বিজেপির যুগ চলবে
হায়দরাবাদে জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে বিজেপিতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, বিজেপি এখন থেকে কয়েকটি রাজ্যের উপর দৃষ্টি রাখবে। সেইসব রাজ্যে বিজেপি সরকরা গঠন করতে চায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যেমন জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছর বিজেপির যুগ চলবে ভারতীয় রাজনীতিতে। আর ভারত 'বিশ্ব গুরু' বা বিশ্ব নেতা হয়ে উঠবে।
পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটাতে যাঁরা টার্গেট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, কংগ্রেস একটি পারিবারিক দল হয়ে উঠেছে। গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেস এখন অস্বিত্ব বাঁচানোর লড়াই লড়ছে। এই অবস্থায় দেশে তাঁদেরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও শক্তি নেই। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র শেষ করাই তাদের উদ্দেশ্য। কংগ্রেস যেমন জাতীয় ক্ষেত্রে শেষ হয়ে গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানাতেও পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে বিজেপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
বিজেপির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের এই মঞ্চ থেকে তিনি বিজেপির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন। ২০২৪-এর আগে তাঁরা বিশেষ কয়েকটি রাজ্যকে টার্গেট করছে। ২০২৪-এর পরেও তাঁরা লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে। বিজেপি যে সমস্ত রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বা ক্ষমতায় এসেছে আগেও, সেই সমস্ত রাজ্য তো বটেই, তা ছাড়া অনেক যে সমস্ত রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি কখনও, সেখানে জয় নিশ্চিত করতে চাইছে।
অমিত শাহের মুখে এক এক করে যেসব রাজ্যের নাম
অমিত শাহ এক এক করে যে সমস্ত নাম সামনে এনেছেন, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এমনকী কেরলের নামও। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় তাঁরা চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হননি। তেলেঙ্গানায় ২০১৮-য় শোচনীয় ব্যর্থ হয়েও এবার শক্তিধর রূপে আবির্ভূত হতে চাইছে বিজেপি। আর কেরালা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও তা।
শুধু কংগ্রেসকে নিশানা করেননি, তিন মিত্রশক্তির দিকেও
পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে তিনি শুধু বাংলা বা তেলেঙ্গানাকে বোঝাননি। কিংবা শুধু কংগ্রেসকে নিশানা করেননি। তাঁর নিশানা থেকে বাদ নন ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডিরা। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক যেমন বিজু পট্টনায়কের তৈরি বিজু জনতা দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তেমনই জগনমোহন রেড্ডি প্রতিনিধিত্ব করছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। ওয়াইএস রাজাশেখর রেড্ডির পর অন্ধ্রপ্রদেশের তাজ ছেলে জগনমোহনের কাঁধে।