চেন্নাইয়ের সারভানা স্টোরের (গোল্ড প্যালেস) ২৩৪.৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক প্রতরণার অভিযোগ রয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই চলতি বছর ২৫ এপ্রিল এই সংস্থার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি ইওডাব্লিউ তদন্ত শুরু করে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, পাল্লাকুদুরাই, পি সুজাতা এবং ওয়াইপি শিরাভান সহ স্টোরের অন্যান্য অংশীদাররা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে। এই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির জন্য তাঁরা অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অভিযোগের পরেই একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উদ্বেগজনক অনেক তথ্য উঠে আসে। এই স্টোর নিজেদের আয়ের ভুল রিপোর্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কের ঋণের জন্য আবেদন করেছিল।
আয় ও ব্যয়ের হিসেবে ব্যাপক গড়মিল দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির এক প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছেন। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্টোরটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় লাভের ভুয়ো রিপোর্ট পেশ করেছিল। ব্যাঙ্ক প্রতরণার জন্য ও ব্যক্তিগত মুনাফা লাভের জন্য স্টোরের অংশীদাররা একটি সম্পত্তি কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল।
সেই সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য বাজারদরের থেকে অনেক বেশি বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন। অভিযোগ এই ষড়যন্ত্রে স্টোরের অংশীদারদের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন আধিকারিক যুক্ত। তবে ব্যাঙ্কের সেই আধিকারিকদের ইডি এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। ইডি তদন্তে নামে স্টোরের অংশীদারদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের একাধিক প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চেন্নাইয়ের সারভানা স্টোরের (গোল্ড প্যালেস) বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভুয়ো দলিল দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে। এই ব্যাঙ্কের এই ঋণ অজ্ঞাত ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগ, এই ঋণের অনুমোদন কর্তব্যরত ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা দেননি। যার জেরে ব্যাঙ্কের কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মুনাফা লাভের লক্ষ্যে স্টোরের অংশীদাররা একাধিকবার ব্যাঙ্কের নিয়ম ভেঙেছেন। ব্যাঙ্কের অজান্তেই সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন, ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্কের ওসিসি সীমার অপব্যবহার করেছেন।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ টিআরএস সাংসদের বিরুদ্ধে, মধুকন গ্রুপের ৯৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির
এছাড়া তাঁরা ব্যাঙ্কের অনুমোদন ছাড়া একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার জেরে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ২৪০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলেই ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন।