মণিপুরে ভয়াবহ বিপর্যয়
গত কয়েকজিনের নাগাড়ে বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। বন্যায় ভাসছে অসম। মণিপুরে ভয়াবহ ধস। মেঘালয়, মিজরাম, ত্রিপুরার অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। একাধিক জায়গায় ধস আর জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসমে। প্রায় ১ মাস ধরে বন্যা চলছে অসমে। শিলচরে যেভাবে বন্যা হয়েছে তা গত কয়েক বছরে দেখা যায়। তারপরেই মণিপুেরর ধসের বিপর্যয়। গত কয়েক বছরের ইতিহাসে মণিপুরে মন ধস দেখা যায়নি এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।
ধসে ৮১ জন মারা গিয়েছেন
মণিপুরের নোনী জেলায় রেল প্রকল্পের কাজের সময় ভয়াবহ ধস নামে। তাতে কমপক্ষে ৮১ জন মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। গত ২ দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন ৫৫ জন। তাঁরা মারা গিয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই টেরিটোরিয়াল আর্মি, ভারতীয় সেনা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিেয়ছে ভারতীয় সেনাও।
পরিদর্শনে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী
আজই ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানিয়েছেন ইতিহাসে এমন ভয়াবহ ধস আগে দেখেনি মনিপুর। আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে উদ্ধারকাজে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করে খবর নিয়েছেন। সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি িদয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছেন সেখানে। এনডিআরএফের দুটি অতিরিক্ত কোম্পানি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বঙ্গের ১০ জনের মৃত্যু
মণিপুরে ধসে যে ৮১ জন মারা গিয়েছেন তার মধ্যে বাংলার ১০ জন রয়েছেন। সকলেই টেরিটোরিয়াল আর্মির। ১০ জনের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্শিয়াংঙের মোট ৯ জওয়ান এবং জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা এক জওয়ান মারা গিয়েছেন। আজ ১০ জনেরই দেহ বিশেষ বিমানে নিয়ে আসা হচ্ছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁদের গান স্যালুট দেওয়া হবে। তারপরেই তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দওয়া হবে দেহ।