এবার মহারাষ্ট্র, ফের নূপুর শর্মার পক্ষে কথা বলে খুন ব্যক্তি

ফের উঠে আসছে নবী বিতর্কের জেরে আর একটি খুনের সম্ভাবনার খবর। এই ঘটনা উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালাল তেলীকে কুপিয়ে হত্যার ঠিক এক সপ্তাহ আগের। ২১ জুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় ৫৪ বছর বয়সী রসায়নবিদ উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহেকে হত্যা করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা এখন ধারনা করছেন যে বিজেপির নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কোলহেকে হত্যা করা হয়েছিল। উমেশ কোহলের ছেলে সংকেত কোহলের অভিযোগের পর অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানার প্রাথমিক তদন্তে ২৩ জুন মুদ্দসির আহমেদ (২২) এবং শাহরুখ পাঠান (২৫) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও চারজনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়, যার মধ্যে তিনজন - আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২) এবং আতিব রশিদ (২২)কে ২৫ জুন গ্রেফতার করা হয়।

শামীম আহমেদ ফিরোজ আহমেদ নামে এক যুবক পলাতক। ২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। তখন উমেশ কোলহে তাঁর ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সংকেত এবং তার স্ত্রী বৈষ্ণবী অন্য একটি স্কুটারে যাচ্ছিলেন৷ সংকেত পুলিশকে বলেছেন, "আমরা প্রভাত চক দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং আমাদের স্কুটার তখন মহিলা কলেজ নিউ হাই স্কুলের গেটের সামনে ছিল৷ বাবার স্কুটারের সামনে হঠাৎ মোটরসাইকেলে দু'জন লোক এসে হাজির হয়। তারা আমার বাবার বাইক থামায় এবং তাদের একজন তার ঘাড়ের বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমার বাবা পড়ে যায়। ঘার থেকে তখন প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল। আমি আমার স্কুটার থামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। এরপর একজন এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনজনকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।"

আশেপাশের লোকজনের সাহায্যে, কোলহেকে নিকটস্থ অ্যাক্সন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। অমরাবতী সিটি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, "পলাতক আসামিদের একজন হত্যার জন্য অন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল। সে তাদের মধ্যে দুজনকে কোলহের দিকে নজর রাখতে বলেছিলেন এবং মেডিক্যাল স্টোর থেকে বের হওয়ার সময় বাকি তিনজনকে সতর্ক করতে বলেছিলেন। বাকি তিনজন কোলহেকে বাধা দেয় এবং তাকে মারধর করে। সাকেতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিটি কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।"

"তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি যে কোলহে হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট প্রচার করেছিলেন। ভুলবশত, তিনি মুসলিম সদস্যদের সাথে একটি গ্রুপে বার্তাটি পোস্ট করেছিলেন যারা তার দোকানের খরিদ্দার ছিলেন। আসামীদের একজন বলেছে এটা নবীর অপমান এবং তাই তাকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে।"

একটি সূত্র মারফত জানা জানায় যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তা, মোবাইল ফোন, গাড়ি এবং অপরাধে ব্যবহৃত পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। সূত্রটি জান্নাচ্ছে, "আমরা জব্দ করা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি ডিএফএসএলে পাঠিয়েছি, এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণগুলির যাচাই-বাছাই চলছে। সমস্ত আসামী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে এবং যাচায়য়ের চলছে"।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তার বাবার খুন হতে পারে কিনা জানতে চাইলে, সংকেত এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমার বাবা খুব হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। তিনি কখনও কারো সম্পর্কে খারাপ কথা বলেননি বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আমি এটাও শুনেছি যে তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাকে খুন করা হয়েছে, কিন্তু আমি তার ফেসবুক প্রোফাইল চেক করেছি এবং আপত্তিকর কিছু পাইনি। কী উদ্দেশ্য ছিল তা কেবল পুলিশই বলতে পারবে। আমি খালি বলতে পারি যে তাকে ডাকাতির জন্য খুন করা হয়নি।" অমরাবতী সিটির পুলিশ কমিশনার বলেন, "এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের আমরা খুঁজছি যাদের গ্রেপ্তার করা হবে।"

More NUPUR SHARMA News  

Read more about:
English summary
for taking side of nupur sharma a man from maharshtra murdered
Story first published: Saturday, July 2, 2022, 13:10 [IST]