এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঋষভ পন্থে অনবদ্য শতরান শুধু ভারতকেই ম্যাচে দারুণ ভাবে ফিরে আসতে সাহায্য করেনি, ঋষভকে ব্যক্তিগত ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। গোটা ক্রিকেট মহল তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। স্বয়ং পল কলিংউড ঋষভের এই ইনিংসের প্রশংসা করেছেন।
তবে, ঋষভকে এই শতরানের সঙ্গে যেটা আরও বেশি তৃপ্তি দেবে তা হল তিনি 'ক্রিকেট ঈশ্বর' সচিন তেন্ডুলকরের এক অনন্য নজির ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছেন। ভারতের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ছয় মারার নীরিখে সচিন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ঋষভ।
মাস্টার ব্লাস্টারের বয়স যখন ২৫ছিল তখন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ছয় পূর্ণ করেছিলেনন। এই একই রেকর্ড ঋষভ পন্থ স্পর্শ করলেন যখন তাঁর বয়স ২৪ বছর। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে টেস্ট ক্রিকেটে ৪৮টি ছয়, ওডিআই-তে ২৪টি ছয় এবং টি-২০ ক্রিকেটে ৩১টি ছয় মেরেছেন ঋষভ পন্থ।
এজবাস্টনে মাঠে নামার আগে পন্থের ঋুলিতে ছিল ৯৯টি আন্তর্জাতিক ছয়। জ্যাক লিচের বলে ভারতীয় ইনিংসের ৩৭ তম ওভারে ছয় মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ছয় মারার নজির গড়েন পন্থ।
রবীন্দ্র জাডেজাকে সঙ্গী করে ভারতের প্রথম ইনিংসকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন ঋষভ পন্থ। ১১১ বলে ১৪৬ রানে দৃষ্টিনন্দন এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেন তিনি। তিনি যখন ব্যাট হাতে আসে তখন দলের রান ৯৮/৫ সেখান থেকে তিনি যখন আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তখন ভারতী দলের রান ৩২০/৬। রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ২২২ রানের পার্টনারশিপ গডেন পন্থ। ২০টি চার এবং চারটি ছয় দিয়ে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল। পন্থের সঙ্গে উইকেট বাঁচিয়ে টিকে টাকা রবীন্দ্র জাডেজা অপরাজিত রয়েছেন ৮৩ রানে। শুভমন গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ারের মতো টপ অর্ডার ব্যাটাররা এ দিন দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে টিকে দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। এজবাস্টনের ঋষভ পন্থের এই শতরান তাঁকে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম টেস্ট শতরানকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেরা তিনে জায়গা করে দিল। ২০০৬ সালে গ্রস ইসলেটে ৭৮ বলে শতরান হাঁকিয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। এর আগে ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহম্মদ আজহারউদ্দিন শতরান করেছিলেন ৮৮ বলে। শুক্রবার শতরানটি করতে ঋষভ পন্থ নিলেন ৮৯টি বল। একটি বল কম খেললেই যৌথ ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন, দু'টি উইকেট পেয়েছেন ম্যাটি পটস এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন জো রুট এবং বেন স্টোকস।