খাদের কিনার থেকে ফিরে আসা হয়তো একেই বলে। যেই দলটা ২০০ রান টপকাতে পারবে কি না, প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল সেই ভারতই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে প্রথম ইনিংস শেষ করল ৪১৬ রানে, সৌজন্যে দুই বাম হাতি ব্যাটার ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাডেজা। ইংল্যান্ডের মনোবলে বিরাট চিড় ধরিয়ে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে তুলে দিল এই জুটি।
এই ম্যাচে টসে জিতে ভারতীয় দলকে প্রথমে ব্যাটিং করতে স্বাগত জানান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। জো রুট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের নেতৃত্বের ব্যাটস হাতে তুলে নেওয়ার পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। সেই আত্মবিশ্বাস থেকে স্টোকস জানিয়েছিলেন তাঁরক দল রান তাড়া করতে বেশি পছন্দ করে তাই এই সিদ্ধান্ত।
তাঁর পরিকল্পনা মতোই এগচ্ছিল ম্যাচ। ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে তখন ধুকছে ভারত। অর্ধেক ব্যাটিং লাইনআপ সাজ ঘরে ফিরে যাওয়ায় তখ দায়িত্ব এসে পড়ে তরুণ উইকেটরক্ষক- ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাডেজার উপর। এটাই ঠিক মতো ব্যাটিং করতে পারা শেষ জুটি ছিল ভারতের। আর এই জুটিই বদলে দিল ভারতের ভাগ্য। ব্যাটিং ধস নেমে কোন ঠাঁসা হয়ে যাওয়া দলটাকে ম্যাচে ফিরে আনল ২২২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে।
ম্যাচে শুু ভারতকে ফিরিয়ে আনাই নয়, ঋষভ-জাডেজার চওড়া ব্যাটের উপর নির্ভর করে বর্তমানে চালকের আসনে ভারত। ১১১ বলে ১৪৬ রানে দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর সঙ্গে ইনিংস গড়ে ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর দায়িত্ব সামলানো রবীন্দ্র জাডেজা করেন ১০৪ রান। শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জসপ্রীত বুমরাহ।
রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া বুমরাহ স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভার ৩৫ রান নেন, যদিও এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে অতিরিক্ত রান। ১৬ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বুমরাহ। ভারতীয় দলের টপ অর্ডার এই ইনিংস দাঁড়াতে পারেনি। শুভমন গিল করেন ১৭ রান, তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে নামা চেতেশ্বর পূজারা করেন ১৩ রান। ২০ রান করেন হনুমা বিহারী। ১১ রানে ফিরে যায় বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার করেন ১৫ রান। মাত্র ১ রান আসে শার্দূল ঠাকুরের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের হয়ে পাঁচটি উইকেট পান জেমস অ্যান্ডারসন। দু'টি উইকেটস নেন ম্যাটি পটস। একটি করে উইকেট পান স্টুয়ার্ট ব্রড, বেন স্টোকস এবং জো রুট।