ডেপুটি স্পিকারের কাছে শিবসেনা ১৬ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার জন্য আবেদন করে। এই আবেদনের ভিত্তি ডেপুটি স্পিকার একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ জন বিধায়ককে নোটিশ পাঠায়। নোটিশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিল শিবসেনা শিবির। ১১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। শিবসেনার প্রধান হুইপ সুনীল প্রভু জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন করেন। ফের একবার শিন্ডে শিবিরকে স্বস্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার প্রধান হুইপ সুনীল প্রভু আবেদনে বলেন, 'একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও দেবেন্দ্র ফড়নবীশের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সম্পূর্ণ বিষয়টি পরিষ্কার। শিন্ডে ও বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল মহা বিকাশ আঘাদি সরকারকে ফেলে দিতে।' আবেদনে প্রভু বলেন, 'বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা সব থেকে বেশি ছিল। তারপরেও দলবিরোধী কাজের পুরস্কার হিসেবে শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে।' তিনি বলেন, 'এতটাই খারাপ কাজ করেছে বিদ্রোহী শিবির যে তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। অবিলম্বে একনাথ শিন্ডের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করতে হবে।' তাঁর সমর্থনকারী বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করার আবেদন করেন সুনীল প্রভু।
৩১ মাসের মহা বিকাশ আঘাদি সরকারকে আস্থা ভোটের নোটিশ পাঠান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। রাজ্যপালের এই নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা। কিন্তু শিবসেনার স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট। মহা বিকাশ আঘাদি জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। তাই আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন উদ্ধব ঠাকরে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন একনাথ শিল্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
একনাথ শিন্ডে বলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবীশের মাস্টার স্ট্রোকের কারণেই তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। শিবসেনার থেকে আসন বেশি হওয়ার পরেও বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেউ হননি। একনাথ শিন্ডে বলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবীশের মতো এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বড় মনের প্রয়োজন হয়। সবাই ভেবেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি যে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া নয়, তা প্রমাণ করার জন্যই একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। এমনিতেই ২০১৯ সালের ঘটনায় মহারাষ্ট্রে বিজেপির ভাবমূর্তি অনেকটা নষ্ট হয়েছে।