শাকসবজি ও খাদ্যপণ্যের জিএসটির অধীনে
জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে দুধ, দুই, শুকনো শাক-সবজি, গম, মেসলিনের আটা, গুড়, চাল, জৈব সার সহ বেশ কিছু পণ্যকে জিএসটির অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। এই পণ্যগুলোতে আগে জিএসটির অধীনে ছিল না। যার ফলে নতুন করে শাক সবজির দাম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শাক সবজির দাম বাড়ার প্রভাব মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ওপর পড়বে। পাশাপাশি আগে ব্রান্ডেড নয় এমন দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর কোনও জিএসটি ছিল না। সেগুলোর ওপর বর্তমানে পাঁচ শতাংশের জিএসটি চাপানো হয়েছে। অন্যদিকে, ব্র্যান্ডেড দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর জিএসটি কমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছে। এরফলে সাধারণ মানুষ ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
হোটেলে জিএসটি ছাড়
দেশের হোটেলগুলোর ওপর জিএসটির বিষয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোটেলগুলোর ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিল জানিয়েছে, যে সমস্ত হোটেলের দৈনিক ভাড়া এক হাজার টাকার নীচে, সেখানে জিএসটি কিছুটা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে বলে কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের কেবিনের জন্য জিএসটি
জরুরি পরিষেবার বেশ জায়গায় জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা অন্যতম ছিল। কিন্তু এবার হাসপাতালে আলাদা রুম বা কেবিনের জন্য জিএসটি দিতে হবে। হাসপাতালের যে সমস্ত রুমের ভাড়া পাঁচ হাজারের বেশি, সেখানে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। তবে আইএসিইউ বেডের দৈনিক ভাড়া ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। যদিও আইসিইউ বেডকে জিএসটির আওতায় ধরা হয়নি।
মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা
নয়া জিএসটি নীতিতে মুদ্রাস্ফীতির প্রবল সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ জিএসটি বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতের প্রাক্তন পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি। জিএসটি কাউন্সিলের এই নীতির জেরে ভারতে দুই ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। করের হার বেশি হলে দাম বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতির সময় নতুন করে দাম বাড়লে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সাধারণ মানুষ নিজেদের ব্যয় সঙ্কুচিত করবে। ঠিক কোন প্রভাব ভারতের ওপর নয়া জিএসটি নীতির জন্য পড়বে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।