এতে কি প্রভাব পড়বে?
দেশে তেলের জোগান যাতে কম না তা নিশ্চিত করতেই সরকারের তরফে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি দেশের বাজারে তেলের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সাহায্য করবে বলে করা হচ্ছে। এতে ভারতের বাজারে তেলের দামের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার রপ্তানিকারকদের তাদের পেট্রোলের ৫০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারে ৩০ শতাংশ ডিজেল বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দামি ক্রুড ওয়েল কেনার ক্ষেত্রে সরকারের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি দেশীয় বাজারে জ্বালানি খরচ মেটাতে সাহায্য করবে বলেও মত অর্থনীতিবিদদের।
দাম বাড়ার আশঙ্কা ছিল-
আসলে, কোম্পানিগুলো কিছু সময়ের জন্য বেশি রপ্তানি করছিল। রপ্তানি করার জন্যে দেশের বাজারে তেল কম পড়ে যাচ্ছিল। আর তাতে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে সরকারের এদিনের সিদ্ধান্তে দামের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এর লাভ সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার দেশীয় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে প্রতি টন প্রতি 23,230 টাকা অতিরিক্ত কর আরোপ করেছে। এর মাধ্যমে উচ্চ আন্তর্জাতিক তেলের দাম থেকে উৎপাদকদের অপ্রত্যাশিত মুনাফা দূর করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোনার আমদানি শুল্ক বেড়েছে
সরকার আজ অর্থাৎ ১লা জুলাই ২০২২- থেকে সোনা'র উপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে সোনা আমদানি করলে আগের থেকে অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। ফলে আরও দামি হল সোনা। আর সিদ্ধান্তে মার্কেটে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে নুন্যতম ১০০০ টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন সোনার আমদানি শুল্ক ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে হবে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।