বাল ঠাকরের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগেই শিন্ডে বলেন, বাল ঠাকরের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এমনকি হিন্দুত্বের প্রশ্নেই তাঁর বিদ্রোহ বলেও কার্যত ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার এই বিধায়ক। আর এই অবস্থায় বাল ঠাকরের সঙ্গে তাঁর ছবি ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক মহলে শোরগল। অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী তিনিই! বার্তা দিতেই কার্যত এহেন ছবি পোস্ট বিদ্রোহী বিধায়কের। দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখনও লড়াই জারি রয়েছে। আর এর মধ্যেই এই ছবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
তারাই আসল সেনা।
সম্প্রতি শিন্ডে গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে তারাই আসল সেনা। এই প্রসঙ্গে তাঁদের যুক্তি ছিল, উদ্ধব ঠাকরে শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বাল ঠাকরের হিন্দুত্ব মতাদর্শকে দুর্বল করেছেন। এবং এই জোটকে "অপ্রাকৃতিক জোট" বলেও কটাক্ষ করেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক। মোট ৫৫ জনের সমর্থন থাকলেও এই মুহূর্তে শিন্ডের সঙ্গে ৩৯জন শিবসেনা বিধায়ক রয়েছেন। যেখানে উদ্ধব ঠাকরে'র সঙ্গে মাত্র ১৫ জন বিধায়কের শক্তি রয়েছে মাত্র।
বুধবার রাতে নাটকীয় মোড়
বলে রাখা প্রয়োজন, বুধবার রাতে নাটকীয় মোড় দেখা যায় মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। হঠাত করেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ঠাকরে। আস্থাভোটে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। তা জানিয়ে দেওয়ার পরেই ইস্তফা দেন ঠাকরে। আর এরপরেই শিন্ডেকে বিশ্বাসঘাতক বলে তোপ দাগেন সেনা সুপ্রিমো। বলেন, তার দল অটোরিকশা চালক এবং গাড়ি চালকদের এমপি এবং বিধায়ক বানিয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, শিন্ডে থানের একজন অটো চালক ছিলেন। আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক উত্থান। কাউন্সিলার ভোটে জয়। এরপর ধীরে ধীরে বিধায়ক হওয়া। ধীরে ধীরে শিবসেনাতে নিজের জায়গা শক্ত করে ফেলেন একনাথ শিন্ডে। তবে তিনিই যে একটা সময় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দেবেন তা বোধহয় কেউ আঁচ করতে পারেননি।
কোনও রাজনীতি না করা হয়
যদিও ছবি'র পরিবর্তন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি শিবসেনার তরফেও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে এর আগে ঠাকরে শিবির স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বালা সাহেবের ছবি নিয়ে যাতে কোনও রাজনীতি না করা হয়।