সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে একাধিক রাজ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ এক জায়গায় স্থানান্তর করার আবেদনের শুনানি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে হয়। শীর্ষ আদালত নূপুর শর্মার আবেদন খারিজ করে দেয়। তাঁর মন্তব্যের জেরে জাতির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়। নূপুর শর্মার আইজীবী বলেন, বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তাঁর ক্ষমা টেলিভিশনে চাওয়া উচিত ছিল। ক্ষমা চাইতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার আগে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নূপুর শর্মার আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বলে, তিনি কোনও ধর্মীয় নেতা নন, শুধুমাত্র উস্কানির জন্য এই মন্তব্য করেছেন। মানুষ ক্ষমতায় এলে ভাবেন সব কিছু করতে পারবেন। কিন্তু তাঁর একটি মন্তব্যের জন্য জাতিকে নিরাপত্তার মুখে পড়তে হয়েছে।
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জের
নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হিংসার আকার নেয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও বিক্ষোভের জন্য একাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরোধিতা করে অভিযোগ দায়ের করা করা। নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরোধিতা করে কানপুরে প্রথমে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপর তা বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক সমালোচনা
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পাশাপাশি আরব উপসাগরের একাধিক দেশ নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ভারত সরকারের সমালোচনা করে। বন্ধু দেশ ইরানও নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতের সমালোচনা করে। ২০টির বেশি দেশ ভারতের সমালোচনা করেন। কোথাও কোথাও আবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। আমেরিকা নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিজেপির অবস্থানের প্রশংসা করেছে।
প্রসঙ্গত, মে মাসের শেষের দিকে দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন জিন্দল নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে। ঘটনার পরেই চাপা উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। বিজেপি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলকে বহিষ্কার করে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এক শুনানির সময় জানায়, দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ জরিমানা করা উচিত ছিল।