কেউ ভুল করে মাইনে বেশি পেয়েছেন এমন এমনিতেই শোনা যায় না। কম হয়েছে এমন হয় কিন্তু বেশি টাকা পকেটে আসে না। সেটাই ঘটেছিল চিলির এই ব্যক্তির সঙ্গে। তবে তিনি যে পরিমাণে মাইনে বেশি পেয়ে গিয়েছেন তা একেবারেই হয় না। পেয়েছেন ২৮৬ শতাংশ বেশি মাইনে। আর দেখে কে। তিনি ওই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন আর কোনও খোঁজ মিলছে না ওই ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে চিলির ওই ব্যক্তি ভুলবশত মে মাসে তার ২৮৬ গুণ বেশি বেতন পান। ওই ব্যক্তি প্রায় ১.৪২ কোটি টাকা বা ১৬৫,৩৯৮,৮৫১ চিলি পেসো পেয়েছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, লোকটি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দোষ স্বীকার করে এবং তাকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা অর্থ ফেরত দিতে রাজি হয়। তবে তিনি পদত্যাগ করেন এবং সমস্ত টাকা নিয়ে চলে যান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকটি 'Consorcio Industrial de Alimentos বা Cial-এ কাজ করত, যা চিলিতে কোল্ড কাটের বৃহত্তম উৎপাদকদের মধ্যে একটি। কোম্পানির কর্মচারীকে মোট ৪৩হাজার টাকা বা ৫ লক্ষ পেসো দেওয়ার করার কথা ছিল, এটাই তাঁর মাসিক বেতন। কিন্তু ঘটনাক্রমে তাকে ১৬৫,৩৯৮,৮৫১ পেসো দেয়। ম্যানেজমেন্ট যখন তাদের রেকর্ড পরীক্ষা করে এবং ত্রুটি খুঁজে পায় তখন ঘটনাটি নজরে আসে।
ঘটনার পরপরই, 'Cial'-এর ম্যানেজমেন্ট ওই কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করে, যিনি কথিত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যেতে রাজি হন। তবে, যখন তারা টাকা ফেরত পায়নি, তারা আপডেটের জন্য লোকটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যোগাযোগ ছিল না। লোকটি কয়েকদিন পরে সেখানে যায়, এবং হিয়ে বলেছিল যে সে টাকা ফেরত দিতে শীঘ্রই ব্যাঙ্কে যাবে। ২ জুন, লোকটি তার পদত্যাগ জমা দেন। তারপর থেকে সে বেপাত্তা।
বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন এখন প্রকাশ পেয়েছে যা থেকে জানা গিয়েছে যে লোকটি নিখোঁজ হয়েছে। অর্থ পুনরুদ্ধার করতে, সংস্থাটি এখন বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছেছে এবং কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এমন ঘটনা যে নজিরবিহীন তা বলা যেতেই পারে। অনেকে বলছেন আবার এতগুলো টাকা , তাও চুরি ডাকাতি করে নয়। একদম সই দাবুদ করে নেওয়া টাকা। আর কোনওদিকে না দেখে তিনি চম্পট দিয়েছেন। মাঝখান থেকে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে ওই সংস্থা।