ভারতে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যয়! মুম্বই, উত্তরাখণ্ড থেকে বর্তমানের অসম, ঘটনাবলী একনজরে

ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্যতম রূপ হল বন্যা (Flood)। তা সে মুম্বইয়ের (Mumbai) বন্যা হোক কিংবা বর্তমানে অসমের (Assam), প্রতিবছরেই কোথাও না কোথাও বিপর্যয়ের সাক্ষী হয় দেশ। তবে এই বন্যার পিছনে জনবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে। গত কয়েক বছরে দেশের খারাপ বন্যাগুলি একনজরে।

২০১৩ উত্তরাখণ্ডের বন্যা

২০১৩-র ১৩ থেকে ১৭ জুন উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হয়। ফলে চোরাবাড়ি হিমবাহ গলে যায় এবং মন্দাকিনী নদীতে জলস্ফীতি ঘটে। যার জেরে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রায় ৫ হাজার সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকের মৃত্যু হয়।

২০০৭ বিহারের বন্যা

২০০৭ সালের অগাস্টে বন্যা বিহারের ৪০ শতাংশের বেশি এলাকাকে জলমগ্ন করেছিল। সেই বন্যায় ১৯ টি জেলা, ৪৮২২ টির বেশি গ্রাম এবং হাজার হাজাক হেক্টর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়। সেই বন্যাকে রাষ্ট্রসংঘ ভয়াবহ বন্যা বলে বর্ণনা করে।

২০০৫ মুম্বইয়ের বন্যা

২০০৫-এর ২৬ জুলাই মুম্বই থমকে গিয়েছিল। ২৪ ঘন্টায় সেখানে ৯৪৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। যা ১০০ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি। হাজার হাজার মানুষ আটকে পড়েন। প্রায় ১ হাজার মানুষের প্রাণ যায়। ১৪ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।

২০১৫ তামিলনাড়ুর বন্যা

২০১৫ সালের নভেম্বরের শেষে দিকে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে প্রবল বৃষ্টি তামিলনাড়ুর জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ব্যাপক বৃষ্টিতে আনুমানিক ১.৮ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত হয়। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৪৭০ জনের। ঘরছাড়া হয়েছিলেন
প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।

২০১৮ কেরলের বন্যা

২০১৮ সালে ভয়াবহতম বন্যা দেখা দেয়। যা ১৯২৪ সালের পর প্রথমবার। বন্যায় ৪০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আরও প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল।

২০১৪ জম্মু ও কাশ্মীরের বন্যা

২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। সঙ্গী হয়েছিল ভূমি ধ্বস। অনন্ত নাগ, কুলগাঁও, পুলওয়ামা, বন্দিপোরা, বারামুল্লা, শ্রীনগরের বেশিরভাগ অংশ জলের তলায় চলে যায়।

২০২১ মহারাষ্ট্রের বন্যা

২০২১ সালে মহারাষ্ট্রের বন্যায় কমপক্ষে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। প্রবল বৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ১৩ টি জেলা। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রায়গড় জেলা।

২০১৭ গুজরাতের বন্যা

২০১৭-র জুলাইয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের তুলনায় প্রায় ৬৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়। যার জেরে বন্যা পরিস্থিতি। ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ যায় সেই বন্যায়।

২০২১ উত্তরাখণ্ডের বন্যা

২০২১ সালে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা চামেলি বিপর্যয় নামেও পরিচিত। হিমবাহ ভেঙে পড়া এবং আকষ্মিক বন্যায় অন্তত ২০০- বেশি মানুষের মৃত্যু হয় কিংবা নিখোঁজ হন।

২০০৬ সুরাতের বন্যা

২০০৬ সালে উকাই বাঁধ থেকে হঠাৎ করে তাপ্তি নদীতে প্রচুর জল ছাড়ার ফলে সুরাতের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়াও এই বন্যার সময় সমুদ্রে ছিল জোয়ার। ফলে নিচু এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০১৭ অসমের বন্যা

বর্ষায় অসমে বন্যা হবেই। ২০১৭-তেও তাই হয়েছিল। অবিরাম বৃষ্টির ফলে ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক নদী উভয়েই বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। যার জেরে নিম্ন অসমের ১৫ টি জেলায় বন্যা দেখা দেয়।

২০১২ ব্রহ্মপুত্রের বন্যা

২০১২ সালে ব্রহ্মপুত্রের বন্যায় কমপক্ষে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল কাজিরাঙ্গার। ১৬ টি গণ্ডার-সহ ৫৪০ টি প্রাণীর মৃত্যু হয়।

২০২২ অসমের বন্যা

এবছর জুনে একটানা বৃষ্টিতে অসমের ৩২ টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাটা ৫৫ লক্ষের বেশি। এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের ওপরে মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনডিআরএফ আটকে পড়াদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা খাদ্য পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করেছে।

ঘোড়া কেনাবেচার ব্যবসায় জিএসটি আরোপ নির্মলার, নেতা মন্ত্রী কেনাবেচাকে ইঙ্গিত করে তুলোধোনা বিরোধীদের ঘোড়া কেনাবেচার ব্যবসায় জিএসটি আরোপ নির্মলার, নেতা মন্ত্রী কেনাবেচাকে ইঙ্গিত করে তুলোধোনা বিরোধীদের

More FLOOD News  

Read more about:
English summary
Form Mumbai to Uttarakhand and now Assam is facing worst type of flood