সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা শিবসেনা'র। কোনও ভাবেই ফ্লোর টেস্ট এড়াতে পারলেন না উদ্ধব ঠাকরে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্যে বৃহস্পতিবারই আস্থা ভোটে পরীক্ষা দিতে হবে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারকে। আস্থা ভোট এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সেই মামলার শুনানি।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এই বিষয়ে আদালত কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শক্তি পরীক্ষা হচ্ছেই।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কেশোয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে'কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন শিবসেনার চিফ হুইপ সুনীল প্রভু। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার অবসরকালীন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয়। একেবারে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সরকার পক্ষে'র হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
তিনি দাবি করেন, বিদ্রোহী বিধায়করা মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারবেন না। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে যেহেতু স্পিকার ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেহেতু তাঁকে সম্মান জানাতেই কোনও ফ্লোর টেস্ট হওয়া উচিৎ নয় বলে সওয়ালে জানান ওই আইনজীবী। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার ফ্লোর টেস্ট না হলে আকাশ ভেঙে পড়বে না বলেও এদিন শুনানিতে মন্তব্য করেন মনু সিংভি। অন্যদিকে বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের পক্ষের আইনজীবী নীরদ কিষান কাউল দাবি করেন, বিধায়কদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গে ফ্লোর টেস্টের কোনও সম্পর্ক নেই।
তাঁর মতে আস্থা ভোট এড়িয়ে যাওয়ার মানে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মাত্র ১৪ জন বিধায়ক আস্থাভোট এড়াতে চাইছেন। অন্যদিকে বলে রাখা প্রয়োজন, নবাব মালিক, অনিল দেশমুখ এই আস্থাভোটে অংশ নিতে পারবে বলেও এদিন নির্দেশিকাতে জানিয়েছে সুপ্রিমো কোর্ট। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে অঙ্ক বলছে, উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানে যথেষ্ট সংখ্যা নেই। তবে এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক লাইভের দিকে নজর গোটা দে্শের।
ইতিমধ্যে মুম্বইয়ে ফিরছেন একের পর এক বিদ্রোহী বিধায়করা। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বইকে। যে কোনও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ডিএসপি পদপর্যায়ের ২০ জন অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫০০ পুলিশ পার্সোনাল, ১০ কোম্পানি এসআরপিএফ সহ বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।