দেশের বিভিন্ন জায়গায় খ্রিস্টানদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে সেই সব ঘটনা বন্ধ করতে হবে। এই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। অবশেষে সেই মামলা শুনতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ১১ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
মামলাটির জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। বর্ষীয়ান আইনজীবী ড. কলিন গনজালভেস বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করেছেন। মে মাসে এই মামলা করেছেন ওই আইনজীবী। মামলায় ৫৭ টি হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু মে মাসেই এতগুলি হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। গনজালভেস জানিয়েছেন যে সময় আদালতে ছুটি ছিল,সেই সময় সবথেকে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, আবেদনে যা জানানো হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। যে দিন আদালত খুলবে সে দিনই এই মামলা শোনা হবে। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও মামলাটি তালিকায় উঠছিল না বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী।
আবেদনকারী জানিয়েছেন মূলত খ্রিস্টানদের ওপর যে হামলা হয়েছে ও খ্রিস্টানদের উদ্দেশে বিভিন্ন সময়ে যে সব কটূ মন্তব্য করা হয়,তার বিরুদ্ধেই এই মামলা। এতে দিনের পর দিন হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, এতে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার।
আবেদনকারী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। হামলার ঘচনা ঠেকাতে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আর্জিই জানানো হয়েছে। খ্রিস্টানদের প্রার্থনার স্থানেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর্জি জানানো হয়েছে যাতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করে অভিযোগগুলির পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হয়।
আইনি পদক্ষেপ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কোনও প্রার্থনা বা সভার ক্ষেত্রে সরকারের তরফে যাতে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যে সব ঘটনা ঘটেছে সেগুলির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেখানে ধর্মীয় হিংসা সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্যের সরকার যাতে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদেরকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দোষীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে।