কোন পথে মহারাষ্ট্র! তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতি মুহূর্তেই বদলাচ্ছে ছবিটা। তবে এই অবস্থার মধ্যেই একনাথ শিন্ডে শিবিরের ৩৮ জন বিধায়ক এমভিএ সরকারের (MVA Govt) ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিধানসভায় চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
কার্যত এহেন সিদ্ধান্তের পরেই মহারাষ্ট্রে ঠাকরে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। কার্যত এরপরেই নাকি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু কেন দিলেন না?
শিবসেনা সুপ্রিমো মহারাষ্ট্রের MVA-এ সরকারের দলনেতাও বটে। যেখানে কংগ্রেস এবং এনসিপিও রয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে চলা সঙ্কটের মধ্যেই ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী'র বাসভবন ছেড়েছেন ঠাকরে। কিন্তু বাসভবন ছাড়লেও পদ কেন ছাড়লেন না তা নিয়ে জোর বিতর্ক রয়েছে। আর এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, একবার নয়, দু'বার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল খোদ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তাঁর পরামর্শেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ঠাকরে।
সূত্রের খবর, সঙ্কটের প্রথম দিনে ফেসবুক লাইভে ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। এতে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না! তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করার পরিকল্পনা থেকে হঠাত করেই সরে আসেন উদ্ধব ঠাকরে। শুধু তাই নয়, সঙ্কটের পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়দিনেও ইস্তফা দিতে গেলেও আটকে দেওয়া হয় তাঁকে।
সুত্র বলছে, পাওয়ারই নাকি উদ্ধব ঠাকরে'কে এখনই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ার কথা জানান। পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছে বলেও নাকি এনসিপি সুপ্রিমো ঠাকরেকে জানান বলে দাবি সূত্রের।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই ফের উদ্ধব ঠাকরে শিবিরে ভাঙন জল্পনা। আরও এক বিধায়ক শিন্ডে'র শিবিরে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবারই তাঁর গুয়াহাটি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে ক্রমশ মজবুত হচ্ছে একনাথ শিন্ডের পক্ষ। এই অবস্থায় এই সপ্তাহেই অনাস্থা আনা হতে পারে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়।
আগামী দুদিনের মধ্যেই অসম থেকে গুয়াহাটি আসতে পারেন অন্তত শিন্ডের দুই বিধায়ক। যারা রাজ্যপালকে পুরো পরিস্থিতি বোঝাবেন বলেই খবর। আর এরপরেই অনাস্থা ডাকা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
One more Maharashtra Shiv Sena MLA is likely to join the Eknath Shinde camp tomorrow: Sources
— ANI (@ANI) June 27, 2022
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বৈঠকে বসেন বিজেপির কোর কমিটি'র সদস্যরা। সেখানে সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। শুধু তাই নয়, গোটা পরিস্থিতির উপর বিজেপি নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন এক নেতা।
জিজ্ঞাসাবাদের পরই সাংবাদিককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ, তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের