আবারও তলব সুকান্ত মজুমদারকে, কেন?
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলা সফর সেরে গিয়েছেন। এখানে তিনি বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা করে গিয়েছেন। তারপর দিল্লি ফিরেই তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। তাঁরা তৎক্ষণাৎ ছুটেছিলেন দিল্লিতে। আবারও তলব সুকান্ত মজুমদারকে, কেন?
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নেই সুকান্ত!
রবিবার রাতে ফোন আসে, সোমবার সকালেই দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। সেইমতো তিনি সকালেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কেন এই জরুরি তলব। কাদের সঙ্গেই বা বৈঠক করবেন তিনি? সোমবার ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি দিল্লি উড়ে যাওয়ায়, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।
সুকান্ত মজুমদারের এই হঠাৎ দিল্লি সফর ইঙ্গিতবাহী
তাত্প্র্যপূর্ণ বিষয় হল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চলেছে বিজেপি। সেই প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। রাজ্য স্তরের সমস্ত শীর্ষ নেতারা সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও সুকান্ত মজুমদার থাকতে পারবেন না। সুকান্ত মজুমদারের এই হঠাৎ দিল্লি সফর ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বঙ্গ বিজেপিতে সংগঠন প্রতিদিনই ভাঙছে, জল্পনা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বঙ্গ সফরে এসে বিজেপি সম্পর্কে যে সমস্ত রিপোর্ট জেপি নাড্ডার হাতে এসেছে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গেও কথা হতে পারে সুকান্ত মজুমদারের। বঙ্গ বিজেপিতে সংগঠন প্রতিদিনই ভাঙছে। গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে আকচা-আকচি লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিতে পারেন জেপি নাড্ডা বা অমিত শাহ-রা।
দুবার ডাকা হয়ে গেল সুকান্তকে, ফের তলবে গুঞ্জন
বঙ্গ বিজেপি আদি-নব্য দ্বন্দ্বে বিব্রত। বাংলায় বিজেপি এই ইস্যুতে আড়াআড়ি বিভাজিত হয়ে পড়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশের পরও অশান্তি কমছে না। প্রতিদিনই বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জেপি নাড্ডা বঙ্গ সফরে এসে বিজেপি নেতৃত্বকে বলে গিয়েছিলেন মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, কাজে লেগে থাকতে দেখা যাবে। উপর থেকে কেউ এসে জিতিয়ে দেবে না। আপনাদেরই জিততে হবে। তারপর দুবার ডাকা হয়ে গেল সুকান্ত মজুমদারকে। ফের তলবে গুঞ্জন তাই বাড়ছে।