ফুচকা খেতে কে না ভালবাসেন বলুন। সন্ধের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে শালপাতার বাটিতে টকজল বেশি দিয়ে ঝাল ফুচকা খাওয়ার আনন্দই আলাদা, তাই মনে করেন অনেকেই। তবে এবার এই স্বাদের পানিপুরি নিষিদ্ধ করল কাঠমান্ডুর ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটিতে। কারণ, ফুচকা টকজল থেকে কলেরা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, এবার থেকে আর পানিপুরি (ফুচকা) বিক্রি করা যাবে না। কারণ ১২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে সকল ব্যক্তি কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা প্রত্যকেই ফুচকার সঙ্গে সুস্বাদু টকজল খেয়েছেন। সেই টকজলের নমুনা পরীক্ষা করতেই দেখা গেছে, সেখানেই রয়েছে কলেরার ভাইরাস।
পৌর পুলিশ প্রধান সীতারাম হাচেথুর জানান, এখানে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার মতো ঝুঁকি রয়েছে। তাই মহানগর ও তার আশেপাশের এলাকায় যাতে ফুচকা বিক্রি বন্ধ করা যায়, তারই ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন।
যারা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পরেছেন তাদের সকলেরই পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা সবাই ফুচকা ও টক জল খেয়েছেন। তাই, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে কোথাও আর ফুচকা বিক্রি করা যাবে না। আর যারা এই নির্দেশিকা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহামারী ও জীবাণু সংক্রমণ দফতরের ডিরেক্টর ছুমনলাল ডাশ।
বর্তমানে কলেরা আক্রান্ত রোগীদের শুকরাজ ট্রপিক্যাল ও সংক্রামক রোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কলেরার পাঁচটি রোগী পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্তদের মধ্যে দুই জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক কমাতেই ভারতে চালের মূল্য পাঁচদিনে বাড়ল ১০ শতাংশ
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় থেকে জনগণ সাবধান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে কলেরার কোনোও লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে তাদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, গরমকাল বা বর্ষাকালে জল থেকে অনেক সময় কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো রোগ হয়। তাই এই সময় জলকে ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। সেখানকার সরকার এই সময় সকলে সাবধানে ও সজাগ থাকতে বলছে।