সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ তিনজনকে
ডেপুটি স্পিকার একনাথ শিন্ডে-সহ শিবসেনার ১৬ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন একনাথ শিন্ডে-সহ অন্যরা। এদিন তা নিয়েই শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল, শিবসেনার চিফ হুইপ সুনীল প্রভু এবং বিধানসভায় শিবসেনার নেতা অনিল চৌধুরীকেও
নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টে বিদ্রোহীদের করা আবেদনে একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে অনিল চৌধুরীকে দলের নেতা করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে ডেপুটি স্পিকারকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাড়াহুড়ো অনাকাঙ্খিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
সব পক্ষকেই হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই মামলায় জড়িত সব পক্ষকেই হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে সব দলকে হলফনামা জমা দিতে ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। পাল্টা হলফনামা জমা দিতে একনাথ শিন্ডে শিবিরকে ৩ জিন সময় দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকারকে বিষদে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ
বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে আনাস্থা আনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালকে সে ব্যাপারেই বিশদে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। শিন্ডে গোষ্ঠী ২২ জুন সংবিধানের ১৭৯ অনুচ্ছেদ এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভার
বিধি অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারকে অপসারণের জন্য নোটিশ দিয়েছিলেন। যদিও ডেপুটি স্পিকার বিদ্রোহী শিবিরের অপসারণের প্রস্তাবের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জন্যই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের তরফে মহারাষ্ট্র সরকারকে বিদ্রোহী বিধায়কদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী আশ্বাস দিয়েছেন, বিদ্রোহী বিধায়ক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন এবং স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। এছাড়াও তাঁদের সম্পত্তিরও কোনও ক্ষতি হবে না।
এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কেন বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন না। সেই সময় শিন্ডে শিবিরের আইনজীবী বলেন, তাদের এবং তাঁদের পরিবারকে হুমকির জন্য এই মামলা মুম্বই থেকে চালানোর পক্ষে অনুকূল নয়।