মহাকাশে নিজের জায়গা শক্ত করছে বেজিং
ইতিমধ্যে সমতলে সামরিক ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তিকে বাড়িয়ে তুলেছে। এবার পালা মহাকাশেও। সেখানে নিজেদের সুপার পাওয়ার করে তুলছে। বেজিং শুধু আকাশে সৌরশক্তি চালিত প্ল্যান্ট স্থাপনই করছে না, কার্যত বৃহৎ কর্মকাণ্ড চালাতে চাইছে তাঁরা। ইতিমধ্যে প্রথম প্রচেষ্টায় চাঁদ থেকে নমুনা আনতে সফল হয়েছে কমিউনিস্ট এই দেশটি। শূধু তাই নয়, মঙ্গলে অবতরণ ও বিচরণ করার পর ড্রাগনের দেশ এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়তে প্রস্তুত। এবার তাঁদের লক্ষ্যে সূর্য।
সোলার স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্য কী
সোলার স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্য হল সৌর শক্তিকে বিদ্যুৎ এবং মাইক্রোওয়েভে রূপান্তর করা। এর ব্যবহার স্যাটেলাইট প্রদক্ষীণ শক্তিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই শক্তিকে ব্যবহার করবে চিন। আর সেই লক্ষ্যেই এই মুহূর্তে কাজ করছে সে দেশের বিজ্ঞানীরা। এমনটাই প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। খবরে দাবি, দিন-রাত জেগে এই বিষয়েই তাঁরা কাজ চালাচ্ছেন।
কীভাবে কাজ করবে?
এক আধিকারিকের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, শিডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল এই গবেষণাটি করেছে। সোলার স্টেশনটি পৃথিবীতে সৌর শক্তি পরিবহন করতে সক্ষম হবে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে সফল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে পুরো বিষয়টি। তবে এই বিষয়ে আরও কিছু গবেষণা প্রয়োজন। আর তা হয়ে গেলেই আগামী ২০২৮ সালের মধ্যেই সোলার স্টেশনটি কাজ শুরু করে দেবে বলে আশাবাদী চিনের বিজ্ঞানীরা।
শক্তি বাড়াচ্ছে বেজিং-
যদি চিন মহাকাশে সৌরশক্তি চালিত স্টেশন বানাতে সফল হয়ে যায় তাহলে আরও একধাক্কায় শক্তি বাড়বে চিনের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে চিন একটা জায়গা নেবে বলে দাবি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের। জানা যাচ্ছে, স্পেস সোলার পাওয়ার স্টেশন একটি হটস্পট প্রযুক্তিতে হতে পারে বলে সম্ভাবনা। যার ক্ষমতা ১০ কিলোবাইট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।