আজমগড় ও রামপুরে বিএসপির অবস্থান
বিএসপি আজমগড়ে প্রার্থী দিয়ে মুসলিম ভোট বিভাজনে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে রামপুরে তারা প্রার্থী না দিয়ে বিজেপি ও এসপির সরাসরি লড়াই নিশ্চিত করেছে। রামপুরে দলিত ভোট বিজেপির জয়ে ভূমিকা নিয়েছে।
২০১৯-এর লোকসভার লড়াই
২০১৯ সালে এসপি ও বিএসপি মহাজোট গঠন করে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড় থেকে প্রায় ৬.২১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে আজম খান রামপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯-এর এই ২ কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির জলে মুসলিম ও দলিত ভোট বড় ভূমিকা নিয়েছিল।
ভোট ভাগে বিজেপিকে সাহায্য
লোকসভা উপনির্বাচনে আজমগড় থেকে এসপি এবং বিএসপি উভয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মায়াবতী এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিলেন শাহ আলম ওরফে গুড্ডু জামালিকে। তিনি আজমগড় ছাড়াও আশপাশের এলাকার মুসলিম
ভোটের ওপরে প্রভাব থাকায় তিনি মুসলিম ছাড়াও দলিত ভোটের একটা বড় অংশ নিজের কব্জায় আনেন।
গুড্ডু জামালি যেখানে ২,৬৬,২১০ ভোট পেয়েছেন, সেখানে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবের দলের প্রার্থী তথা আত্মীয় ধর্মেন্দ্র যাদব ৩,০৪, ০৮৯ ভোট পান। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লাল যাদব পান ৩,১২, ৭৬৮ ভোট।
এই আসনে যদি মায়াবতী গুড্ডু জামালিকে না দাঁড় করাতেন তাহলে এসপি প্রার্থী খুব সহজেই জয়লাভ করতেন। মাস তিনেক আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সবকটি
বিধানসভাতেই জয়লাভ করে সমাজবাদী পার্টি।
বিজেপির পাশে রামপুর
রামপুরে এবার বিএসপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ছিলেন আজম খানের অনুগত বলে পরিচিত অসীম রাজা। অন্যদিকে বিজেপি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন সমাজবাদী ধনশ্যাম লোধীকে।
আগে থেকেই বিজেপি আশা করেছিল তারা এলাকার দলিত ভোটের বেশিরভাগটাই পাবে। তাই এই কেন্দ্রের ফলফল নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশ্চর্য হননি। তারা বলছেন, মায়াবতী এই কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে
বিজেপির দলিত ভোট পাওয়ায় সুবিধা করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্তী ৪২, ১৯২ ভোটে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন।