সঞ্জয় রাউতকে ইডির তলব
মহারাষ্ট্রে তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে মঙ্গলবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একটি জমি কেলেঙ্কারী মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এপ্রিলে সঞ্জয় রাউতের সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, 'এই ঘটনায় আমি ভয় পাই না। আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুন, আমাকে গুলি করুন অথবা জেলবন্দি। সঞ্জয় রাউত বালা সাহেব ঠাকরের অনুসারী ও একজন শিব সৈনিক।' ইডির তলবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'বিজেপির প্রতি ভক্তির ইডির সব থেকে বড় প্রমাণ সঞ্জয় রাউতকে তলব।'
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিদ্রোহী নেতারা
গুয়াহাটির হোটেল থেকে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ১৬ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার পরেই বিদ্রোহীরা দেশের শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত নেন। শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বিধায়করা মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার নারহরি জিরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারপদটি ফাঁকা রয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্পিকার নানা প্যাটেল পদত্যাগ করেন। বর্তমানে বিধানসভায় বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণার করার অধিকার কারও নেই। বিদ্রোহী ৩৪ জন বিধায়ক ডেপুটি স্পিকার নারহরি জিওয়ালের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছিলেন।
শিবসেনার কর্মীদের বিক্ষোভ
মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখান শিবনেতার কর্মীরা। পুনে শহরে শিবসেনার সভাপতি গজানন থারকুডের নেতৃ্ত্বে বালগান্ধর্ব অডিটোরিয়ামের বাইরে ও কোথরুদের দুটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখান শিবসেনার স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা। তাঁরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আগে শিবসেনার কর্মীরা একাধিক বিক্ষোভ করেন। বিদ্রোহী বিধায়কদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। শনিবার শিবসেনার কর্মীদের উদ্দেশ্য করে একনাথ শিন্ডে বলেন, 'আপনাদের বোঝা উচিত আমরা মহা বিকাশ আঘাদি জোট থেকে শিবসেনাকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছি।'