করোনা মহামারী, লকডাউন কমাতে পারেনি গ্রিন গ্যাসের প্রভাব, বায়ুমণ্ডলে বেড়েছে মিথেনের মাত্রা

সারা বিশ্ব যখন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। মানুষ যখন রাত্রে নিজের বাড়িতে বিশ্রাম নেন। সেই সময় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়। এমনটাই ধারণা ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিজ্ঞানীরাও এই ধারণাতে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু ২০২০ সালে বায়ু মণ্ডলে মিথেন গ্যাসের রিপোর্ট বিজ্ঞানীদের সমস্ত ধারণাকে ওলোট-পালোট করে দিয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামরীর সময় বিশ্বে বাণিজ্য থমকে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কম হবে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, করোনা মহামারীর বছরের বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইউরোপের কোপর্নিকাস সেন্টিলেন ৫পি উপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে তাঁরা প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পান। জার্মানির বন শহরে লিভিং প্ল্যানেট সিম্পোজিয়ামে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। মিথেন নির্গমনের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে।

বাকি ৬০ শতাংশ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বা কৃষি ক্ষেত্র থেকে। ১৯৮০ সালের পর ২০২০ সালে মিথেন গ্যাসের ঘনত্ব সব থেকে বেশি ছিল। ২০২১ সালে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কার্যকলাপ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাওয়ার পরেও কী করে ২০২০ সালে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের ঘনত্ব এতটা বাড়ল, সেই নিয়ে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের মনে একাধিক প্রশ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

উপগ্রহের পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের একটা ঢেউ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমিলি ডাউড বলেন, কোপর্নিকাস সেন্টিলেন ৫পি উপগ্রহের পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের জলাভূমিগুলোর ওপর মিথেন গ্যাসের প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মিথেন গ্যাসের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন হয়। তবে পরিবর্তনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তিনি বলেন, ইউরোপের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে ইতিমধ্যে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন।

গবেষণার দেখা গিয়েছে, বায়ুমণ্ডলে পিএম ২.৫ আকারের ক্ষু্দ্র বায়ুকনার পরিমাণ সামান্য হ্রাস পেয়েছে। দূষণের ওপর বায়ুণ্ডলের এই কনার ঘনত্ব নির্ভর করে। করোনা মাহামারীর জেরে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশে লকডাউন চলছিল। যার জেরে যানবাহন বা শিল্পাঞ্চলগুলো প্রায় বন্ধ ছিল। এর ফলে দূষণের হার কিছুটা কমে যায়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বায়ুমণ্ডলের এই কনার পরিমাণ লকডাউনের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।

Weather Update: উত্তরবঙ্গে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন! দক্ষিণবঙ্গে ঝমঝমিয়ে বর্ষা কবে, একনজরে পূর্বাভাস Weather Update: উত্তরবঙ্গে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন! দক্ষিণবঙ্গে ঝমঝমিয়ে বর্ষা কবে, একনজরে পূর্বাভাস

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘ লকডাউনে অনেকেই মনে করেছিলেন, বাতাসে দূষণের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। বায়ুমণ্ডলে এত ব্যাপক পরিবর্তন হয়নি।

More GLOBAL WARMING News  

Read more about:
English summary
Greenhouse gas emission did not slowdown in lockdown methane level increase
Story first published: Monday, June 27, 2022, 19:49 [IST]