|
জরুরি অবস্থা কলঙ্কিত অধ্যায়
আজকের দিনে ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্জিরা গান্ধী। তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদী জার্মানির মিউনিখে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিটি ভারতীয়ের ডিএনএতে রয়েছে। কিন্তু ৪৭ বছর আগে ২৬ জুন গণতন্ত্রকে পদদলিত এবং দমন করা হয়েছিল। যা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দাগ।
|
ভারতীয়রা গণতন্ত্র নিয়ে গর্বিত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয়রা গণতন্ত্র নিয়ে গর্বিত। ভারতীয়রা গর্বের সঙ্গে বলতে পারে যে ভারত গণতন্ত্রের দননী। সংস্কৃতি, খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত এবং ঐতিগ্যের বৈচিত্র গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত করে তোলে। গণতন্ত্র কী দিতে পারে ভারত তা দেখিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
|
ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত শতাব্দীতে জার্মানি এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। কিন্তু ভারত তখন ক্রীতদাস ছিল। সেই কারণে তারা সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ভারত পিছিয়ে থাকবে না। ভারত এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন লোকেরা বলেছিল, সব ভারতবাসীকে কোভিডের টিকা দিতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লেগে যাবে। আজ প্রাপ্ত বয়স্কদের ৯০% উভয় ডোজ নিয়েছেন। অন্যদিকে অন্তত ৯৫% প্রাপ্তবয়স্ক একটি করে ডোজ নিয়েছেন।
|
দেশের উন্নয়নের ছবি প্রবাসীদের সামনে
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন. দেশের কোনও গ্রামেই এখন কেউ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন না। অধিকাংশ গ্রামে বিদ্যুত রয়েছে আর ৯৯% গ্রাম পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ভারত গত ২ বছর ধরে ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। ভারতে এখন
প্রতি ১০ দিনে একটি ইউনিকর্ন রয়েছে। তিনি বলেছেন, দেশে এখন ১০ কোটির বেশি টয়লেট তৈরি হয়েছে। দেশকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব মানুষ এখন বোঝে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশ পেট্রোলে ১০% ইথানল মিশ্রণের একটি লক্ষ্য রেখেছিল। লক্ষ্যমাত্রার ৫ মাস আগেই তা অর্জন করা গিয়েছে। ভারত এখন প্রগতির জন্য, উন্নয়নের জন্য এবং তার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।