বিহারের রাজধানী পাটনায় শনিবার (২৫ জুন) অসম সম্পদের মামলায় ড্রাগ ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িতে নজরদারি বিভাগের একটি দল অভিযান চালায়। যে পরিমাণ টাকা মিলেছে তা গুনতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়। নগদ ছাড়াও, অফিসাররা অনেক সম্পত্তির নথি, বিপুল পরিমাণ সোনা ও রূপা এবং চারটি বিলাসবহুল গাড়ি খুঁজে পেয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন ডিএসপি মনিটরিং বিভাগের সুরেন্দ্র কুমার মৌর।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে আধিকারিকদের টেবিল এবং বিছানায় স্তুপাকারে টাকা সাজানো ছিল। ১০০ থেকে ২০০০ টাকার ভরতি নোট পাওয়া যায় তার ঘর থেকে। ডিএসপি মনিটরিং বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, "অনুপাতিক সম্পদের মামলায় ড্রাগ ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িতে নজরদারি বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়েছে। বিপুল পরিমাণ নগদ, অনেক জমির কাগজপত্র, সোনা, রূপা এবং চারটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।"
এদিকে, চণ্ডীগড়ে, পাঞ্জাবের ভিজিল্যান্স বিভাগ শনিবার গ্রেফতার করা ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (আইএএস) অফিসার সঞ্জয় পপলির বাসভবন থেকে ১২ কেজি সোনা উদ্ধার করে। ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ""দুর্নীতির মামলায় আইএএস অফিসার সঞ্জয় পপলিকে গ্রেপ্তারের চার দিন পরে, শনিবার ভিজিল্যান্স ব্যুরো তার বাড়ির স্টোররুম থেকে ১২ কেজি সোনা, ৩ কেজি রৌপ্য, চারটি অ্যাপল আইফোন, একটি স্যামসাং ফোল্ড ফোন এবং দুটি স্যামসাং স্মার্টওয়াচ উদ্ধার করেছে।"
১২ কেজি সোনার মধ্যে নয়টি সোনার ইট (প্রতি ১ কেজি), ৪৯টি সোনার বিস্কুট এবং ১২টি সোনার কয়েন রয়েছে, আর ৩ কেজি রৌপ্যের মধ্যে ছিল ৩টি রৌপ্য ইট (প্রতিটি ১ কেজি) এবং ১৮টি রৌপ্য মুদ্রা (প্রতিটি ১০ গ্রাম)। IAS আধিকারিক সঞ্জয় পপলিকে ২০ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।"
ভিজিল্যান্স ব্যুরোর সরকারী মুখপাত্র বলেছেন যে সঞ্জয় পপলির বক্তব্যের ভিত্তিতে, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর দল তার বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির স্টোররুমে লুকিয়ে রাখা সোনা, রূপা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আইএএস অফিসার সঞ্জয় পপলির ছেলে শনিবার গুলির আঘাতে মারা যায়। যদিও পুলিশ বলছে কার্তিক পপলি আত্মহত্যা করে মারা গেছে, তার পরিবার অবশ্য দাবি করেছে তাকে খুন করা হয়েছে।
কার্তিক পপলির মা বলেন, "তারা আমার সন্তানকে অত্যাচার করেছে এবং তাকে হত্যা করেছে। প্রমাণের জন্য তারা আমার গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছে। পুরো ভিজিল্যান্স ব্যুরো এবং ডিএসপি মুখ্যমন্ত্রীর চাপে রয়েছে। এভাবেই তারা মানুষ হত্যা করছে," বলেছেন কার্তিক পপলির মা। পাঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো দুর্নীতির অভিযোগে আইএএস অফিসার পপলি এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করার কয়েকদিন পর ঘটনাটি ঘটে। সঞ্জয় পপলির আত্মীয় অনুপ্রীত কুলার অভিযোগ করেছেন যে "ভিজিলেন্সের লোকেরা তাকে হত্যা করেছে।"