কী বললেন সিমরনজিৎ সিং মান
পঞ্জাবের সাঙ্গারুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সিমরনজিৎ সিং মান বলেন, 'এই জয় আমাদের দলের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমরা সমস্ত জাতীয় দলকে পরাজিত করে এই জয় ছিনিয়ে এনেছি। কৃষকদের করুণ অবস্থা ও সাঙ্গারুর খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমি সংসদে উত্থাপন করব। পঞ্জাব সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।' তিনি বলেন, 'সাঙ্গারুর মানুষ সাংসদ হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের সমস্ত কৃষক, ক্ষেতমজুর, ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য পরিশ্রম করব।'
আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল সিমরনজিৎ সিং মানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের শুভেচ্ছা ও সহযোগিতা সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকবে। জনগণের আদেশকে শ্রদ্ধা জানাই।' এটা গণতন্ত্রের জয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিরোধীদের শুভেচ্ছা বার্তা
পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান অমরিন্দর সিং সিমরনজিৎ মান সিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'লোকসভার উপনির্বাচনের ফলাফলে আমি আন্তরিকভাবে সিমরনজিৎ সিং মান ও তাঁর দলকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিশ্চিত তিনি নতুন ভূমিকায় পঞ্জাবের সাধারন মানুষের আওয়াজ হয়ে উঠে আসবেন। এই ফলাফল পঞ্জাবের অদক্ষ প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ ফুটে উঠেছে।'বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, সাঙ্গারুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে পঞ্জাবের মানুষ আপের দিল্লি মডেলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভগবন্ত সিং মান দুর্গে ভাঙন
সাঙ্গারুর লোকসভা কেন্দ্র পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত সিং মানের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্র থেকে ভগবন্ত সিং মান একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছিলেন। চলতি বছর, পঞ্জাবের বিধান সভা নির্বাচনে তিনি ধুরি কেন্দ্র থেকে আপ প্রার্থী হন। জয়লাভের পর তিনি নিজের সাংসদ আসন ছেড়ে দেন। উপনির্বাচনে সেখানে আপ প্রার্থী হেরে যান। ২৩ জুন পঞ্জাবের সাঙ্গারুর লোকসভা কেন্দ্র সহ দেশের মোট সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়।