বছর ঘুরলেই ত্রিপুরাতে বিধানসভা ভোট। আর সেই ভোটের আগে উপনির্বাচন কার্যত প্রেস্টিজিয়াস ফাইট ছিল বিজেপির কাছে। তিন কেন্দ্রে বিজেপি জিতলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজধানী আগরতলাতে খাতা খোলে কংগ্রেস। জয় পান প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায়বর্মন। আর এরপরেই রণক্ষেত্রে রাজধানী। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বিজেপি এবং কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে আসছে।
জানা যাচ্ছে, আগরতলায় কংগ্রেস প্রার্থী'র জয়ের খবর সামনে আসতেই বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। একের পর শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে আসতে শুরু করে দেন। পালটা বিজেপি'র তরফেও বিজয় মিছিল করা হচ্ছিল। আর এর মধ্যেই একদল দুষ্কৃতী কংগ্রেসের দফতরে হামলা করে বলে অভিযোগ। সেই সময়ে প্রদেশ কার্যালয়ে প্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
বীরজিত সিনহা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
প্রদেশ কংগ্রেস অফিস থেকে তাঁকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যে হামলার ছবি-ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকশ যুবক লাঠি-বাঁশ হাতে তান্ডব চালাচ্ছে। অভিযোগ তাঁরা সবাই বিজেপি'র কর্মী। হারতেই তাঁরা হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েছে। গিয়েছেন ত্রিপুরা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। ঘটনায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করা হয়েছে বলেও খবর।
তবে এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করা করা হয়েছে বিজেপি'র তরফে। পালটা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বিজেপির দাবি, কংগ্রেস একটা জিতে ভাবছে সব পেয়ে গেছি। তাঁরা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে বলে দাবি ত্রিপুরা বিজেপি'র। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নাটক করছে বলেও অভিযোগ।
যদিও আগেই সুদীপ রায় বর্মন বলেন, মানুষ বিজেপি;র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আগামদিনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে এহেন মন্তব্যের পরেই সৌজন্যে'র ছবি ধরা পড়ে আগরতলাতে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা'কে দেখিয়ে হাতে হাত মেলান কংগ্রেস নেতা সুদীপ রাম বর্মন। আর এরপরেই এই ঘটনা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।