নির্জন অবস্থান
পঞ্জাবের সাঙ্গারুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সিমরনজিৎ সিং মান বলেন, 'এই জয় আমাদের দলের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমরা সমস্ত জাতীয় দলকে পরাজিত করে এই জয় ছিনিয়ে এনেছি। কৃষকদের করুণ অবস্থা ও সাঙ্গারুর খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমি সংসদে উত্থাপন করব। পঞ্জাব সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।' তিনি বলেন, 'সাঙ্গারুর মানুষ সাংসদ হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের সমস্ত কৃষক, ক্ষেতমজুর, ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য পরিশ্রম করব।'
আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল সিমরনজিৎ সিং মানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের শুভেচ্ছা ও সহযোগিতা সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকবে। জনগণের আদেশকে শ্রদ্ধা জানাই।' এটা গণতন্ত্রের জয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হোটেলটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য
এই হোটেলটি তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। ১৯১৪ সালে জোহানেস মুলার এই হোটেলটি তৈরির কাজ শুরু করেন। শেষ হয় ১৯১৬ সালে। জোহানেস মুলার একজন লেখক ও দার্শনিক ছিলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাৎসি সরকারের প্রতি মুলারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। অ্যাডলফ হিটলারকে তিনি ঈশ্বরের দূত বলে মনে করতেন। আবার উল্টোদিকে তিনি ইহুদি বিদ্বেষের চরম বিরোধী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিভিন্ন বই ও বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি হিটলারের প্রশংসা করেন। তিনি মিত্র শক্তির রোষের কারণ হয়ে দাঁড়ান। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই সময় আমেরিকা তাঁর এই দুর্গ নিজেদের দখলে নেয়। ১৯৬১ সালে মুলারের সন্তানরা এই দুর্গের মালিকানা অর্জন করে। বর্তমানে এই দুর্গের মালিক মুলারের নাতি ডায়েটমার মুলার এলমাউ।
রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হোটেল
শ্লোস এলমাউ দুর্গের আকারে তৈরি করা হয়েছে। এই হোটেলটি দুটো অংশ। হোটেলের মূল অংশের হাইডওয়ে। এখানে ১১৫টি রুম রয়েছে। হোটেলের এই অংশে যে কেউ আসতে পারেন ও থাকতে পারেন। মুলার এমন একটা হোটেল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যা জি-৭ বৈঠকের জন্য উপযুক্ত। তাই মূল কাঠামো থেকে ১০০ মিটার দূরে তৈরি করা হয় আর একটি হোটেল। হোটেলের মধ্যে হোটেল বলা যেতে পারে। এই হোটেলটির নাম দেওয়া হয় রিট্রিট। জি-৭ বৈঠকের কথা মাথায় রেখেই এই হোটেলটি তৈরি করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য বিশেষভাবে স্যুটগুলো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপ্রধানদের ব্যক্তিগত সময় কাটাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপ্রধানরা একসঙ্গে খাবার খেতে পারবেন। রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলনের জন্য এই হোটেলে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হোটেলে এসি নেই, হয় না প্লাস্টিকের ব্যবহার
শ্লোস এলমাউয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য নিজস্ব একটি কক্ষ ছাড়াও আরও পাঁচটি করে কক্ষ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই হোটেলে রাষ্ট্রপ্রধানরা চাইলে পুলে একসঙ্গে সাঁতার কাটতে পারবেন। সেই ব্যবস্থাও করা রয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে শ্লোস এলমাউয়ে কোনও শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য তৈরি রিট্রিটে দূষণমুক্ত কুলিং সিস্টেম রয়েছে। যা মূলত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সাধারণের জন্য তৈরি হাইডওয়েতে এই ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেই। পাহাড়ি ঠান্ডা হাওয়া, রৌদ্রজ্জ্বল দিনে এখানে প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ হয় বলে জানা গিয়েছে।
এখানে কোনও প্লাস্টিকের ব্যবহার নেই। হোটেলের কর্মীরা বলেছেন, এখানে চিনা মাটির বোতল বা কাঁচের বোতল ব্যবহার করা। যা পুনর্ব্যবহার যোগ্য। দূষণের কথা মাথায় রেখেই এখানে প্ল্যাস্টিক ব্যবহারের অনুমতি নেই।