মহম্মদ আসিফের প্রতিভা অচিরেই শেষ হয়ে যাওয়ায় হতাশ আক্রম:
ইউটিউবে আক্রম বলেছেন, "প্রত্যেকেই হতাশা প্রকাশ করেন মহম্মদ আসিফের ব্যাপারে। অবশ্যই, প্রতিভা নষ্ট হয়েছে। যার সঙ্গেই আমি কথা বলি...ওই ধরনের বোলার আমি বহু দিন পর দেখেছিলাম, যে ভাবেও বলকে নিয়ন্ত্রণ করত। দুই দিকেই সুইং করাতে পারত। ওর জন্য এবং পাকিস্তানের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। অনেকটা সময় ধরে আমি ওকে দেখিনি। দশ বছর হয়ে গেল আমি করাচিতে এসেছে। লাহরে আমি খুবই কম যাই।"
আসিফের নির্বাসন:
স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১০ সালে সাত বছরের জন্য নির্বাসিত হন আসিফ। এই প্রসঙ্গে আক্রমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ছোট ছেলে। ভুল করে ফেলেছিল।" পাকিস্তানের জার্সিতে শেষ ম্যাচটি আসিফ খেলেছিলেন ২০১০ সালে। কিছু দিন আগে আমেরিকায় বাচ্চাদের কোচিং ক্যাম্পি তাঁকে প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গিয়েছে।
পাকিস্তানের জার্সিতে মহম্মদ আসিফের পরিসংখ্যান:
পাকিস্তানের হয়ে ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত খেলেছেন আসিফ। তিনি পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২৩টি টেস্টে, ৩৮টি ওডিআই এবং ১১টি টি-২০ ম্যাচে। ২৩টি টেস্টে তিনি সংগ্রহ করেন ১০৬ উইকেট। সাত বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এবং এক ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন ১ বার। ওডিআই ফরম্যাটে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪৬ এবং আন্তর্জাতিক টি-২০'তে তিনি উইকেট পেয়েছেন ১৩টি।
ওয়াসিম আক্রমের পরিসংখ্যান:
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য আক্রম। ১০৪টি টেস্টে ৪১৪টি উইকেট পেয়েছে তিনি। ৩৫৬ ম্যাচে ওডিআই ম্যাচে তিনি শিকার করেছেন ৫০২ উইকেট। ব্যাট হাতেও নিজের ঝলক দেখিয়েছেন এই কিংবদন্তি বোলার। টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ২৮৯৮ রান। তিনটি শতরান, একটি দ্বি-শতরান এবং ৭টি অর্ধ শতরান তিনি করেছেন। তাঁর সর্বোচ্চ ২৫৭। ওডিআই ক্রিকেটে করেছেন ৩৭১৭ রান। তাঁর অর্ধ-শতরান সংখ্যা ৬টি।