বিজেপির সমর্থনের ইঙ্গিত
ক্রমশ জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। বিজেপি যে নেপথ্যের কারিগর হিসেবে কাজ করছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে একনাথ শিন্ডের বক্তব্য। গতকালই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে গুয়াহাটির হোটেলে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে শিন্ডেকে। সেখানে শিন্ডে বলেছেন দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে কোনও ভাবেই সেই রাজনৈতিক দলের নাম করেননি তিনি। তার থেকেই স্পষ্ট যে বিজেপি তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকী শিন্ডেকে বলতে শোনা িগয়েছে সেই রাজনৈতিক দল তাঁকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
১২ বিধায়ককে সাসপেন্ড
এদিকে সরম পদক্ষেপ করেছে শিবসেনা। উদ্ধাব ঠাকরে থেকে শুরু করে একের পর এক শিবসেনা বিধায়ক দাবি করেছেন বিদ্রোহীদের সাসপেন্ড করা হোক। সেই দাবি মেনেই বিদ্রোহী ১২ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে শিবসেনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শিবসেনার মুখপত্র সামনায় চরম বার্তা দেওয়া হয়েছিল বিধায়তদের। তাঁরা যাতে দ্রুত ফিরে আসেন মুম্বইয়ে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তাতে বিধায়কদের বহিষ্কারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই গতকাল রাতে শিবসেনার ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।
আগাড়ি সরকার থেকে সরে আসার ইঙ্গিত
গতকাল আবার আগাড়ি সরকার থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। গতকাল দিনভর উদ্ধব ঠাকরে অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছেন। দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিধায়কদের সঙ্গে। কোন উপায়ে তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। হুমকি দিয়েও কাজ হয়নি। বিধায়করা একনাথ শিন্ডকেই সমর্থন জানিয়েছেন। উল্টে উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পর আরও চার শিবসেনা বিধায়ক অসমে গিয়ে একনাথ শিন্ডেকে সমর্থন জানিয়েছেন।
রাজ্যপালকে চিঠি
এদিকে আবার রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে বিদ্রোহী শিবসেনা সাংসদরা। তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি লিখে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা দাবি করেছেন। একনাথ শিন্ডেকে নেতা করে তাঁরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা দাবি করেছেন। এদিকে বারবারই একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন তিনি উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে েযন সরকার গড়ে। কারণ যাদের সঙ্গে শিবসেনা জোট গড়েছে তাদের সঙ্গে কোনও আদর্শগত মিল নেই।