ভাঙচুর চালাচ্ছে একদল যুবক
ঘটনার পরেই যুব কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার পিছনে ক্ষমতায় থাকা সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কর্মীরা জড়িত। তাঁরাই ঢুকে রাহুল গান্ধীর অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে ঘটনার ভিডিও। শুধু তাই নয়, ঘটনার পরেই কংগ্রেসের তরফে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর অফিসে ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালাচ্ছে একদল যুবক। এমনকি হামলাকারীদের একজনের হাতে এসএফআইয়ের ঝান্ডা আছে বলেও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে।
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
ইতিমধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওয়ানাড়ে রাহুল গান্ধীর অফিসে হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজয়ন জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক ভাবে সবার বিক্ষোভ-আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে সবারই। কিন্তু বিক্ষোভের নামে এমন হিংসার ঘটনা কোনও দিন বরদাস্ত নয় বলেও এদিন জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে
ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অফিসের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছেন, এসএফআইয়ের তরফে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আরসেই মিছিলে শতাধিক কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই মিছিলেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর এরপরেই উত্তেজিত কর্মীরা রাহুল গান্ধীর অফিসে ঢুকে পড়ে। এবং সেখানে হামলা চালানো হয়। ৮০ থেকে ১০০ জন কর্মী অফিসে ঢুকেছিল বলে দাবি। তবে এখনও পর্যন্ত আটজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
|
ক্ষোভ থেকেই হামলা
জঙ্গলের বাফার জোন ও সুরক্ষিত অভয়ারণ্য নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তা নিয়ে নীরব রাহুল গান্ধী। আর তা নিয়েই এদিনের এই বিক্ষোভ। অভিযোগ, শুধু অফিস ভাঙচুর নয়, কংগ্রেস কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।