বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
মহারাষ্ট্রে আগাড়ি সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। শিবসেনার মুখপত্রা সামনায় স্পষ্ট এই অভিযোগ করা হয়েছে। সামনায় অভিযোগ করা হয়েছে প্রথম থেকেই শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে ক্যাম্প করে ছিলেন। প্রথম গুজরাতের সুরাটে। সেখান থেকে অসমের গুয়াহাটিতে গিয়েছেন তাঁরা। গুয়াহাটিতে বিমানবন্দরে শিবসেনার বিধায়কদের স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। কাজেই বিজেপিই যে পুরো ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি
শিবসেনার মুখপত্রে এদিন বিদ্রোহী বিধায়কদেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সতর্ক করে সামনায় লেখা হয়েছে। যদি শিব সৈনিকরা চায় তাহলে সব বিদ্রোহীরা প্রাক্তন বিধায়কে পরিণত হবেন। অর্থাৎ তাঁদের বিরুদ্ধে দল ত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর তরে তাঁদের বিধায়ক পদ থেকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আর একবার বহিষ্কার করা হলে আর তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। তাতে চাপ বাড়বে বিজেপিরই। এমনকী ভোটেও প্রার্থী হতে পারবেন না। কােজই বিধায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলে তাঁেদরই চাপ বাড়বে।
বিজেপি পাত্তা দেবে না
শিবসেনার মুখপত্রে বিজেপিকে সুবিধাবাদী দল বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। সামনায় দাবি করা হয়েছে আজ বিজেপির প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁদের খাতির যত্ন করছে। প্রয়োজন মিটে গেলে বিজেপি তাঁদের ছুড়ে ফেলে দেবে। এই রকমই বরাবর বিজেপি করে এসেছে। এটাই তাদের স্বভাব বলে লেখা হয়েছে সামনায়। শিবসেনার টিকিটে জেতার পরে তাঁরা কীভাবে এইরকম বিশ্বাস ঘাতকের মত কাজ করতে পারে। একনাথ শিন্ডে সব সব বিদ্রোহী বিধায়কদের সবার আগে মুম্বই ফিরে আসা উচিত বলে সামনায় লেখা হয়েছে। আস্থা ভোটের সময় তাঁদের মুম্বইয়ে ফিরে এসে আম জনতার মুখোমুখি হওয়া উচিত।
শিন্ডের দাবি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পর একনাথ শিন্ডে উদ্ধব ঠাকরের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাতে নিজেকে শিব সৈনিক দাবি করে শিন্ডে জানিয়েছিলেন তিনি শিব সৈনিক বালা সাহেবের হিন্দুত্বের আদর্শে বিশ্বাসী। কাজেই এনসিপি ও কংগ্রেসের মত সম্পূর্ণ আদর্শ বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বেধে সরকার গঠন করায় আপত্তি রয়েছে তাঁর। তিনি কোনও ভাবেই এই জোট সরকারকে মেনে নিতে পারছেন না। বিজেপি সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন শিন্ডে।