নিয়োগ নিয়ে একের পর দুর্নীতি! ইতিমধ্যে দফায় দফায় পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জেরা করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে সরকারকে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও গত কয়েকদিন আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
নতুন করে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে পর্ষদ সভাপতি'র দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলই। কিন্তু শেষমেশ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়েই দিল সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর কথা বলা হয়েছে। ওই পদে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আগামী একবছরের জন্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসাবেই থাকবেন তিনি।
এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করেছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকেই এবার পর্ষদ সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হল।
তবে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব সামলেছেন কল্যাণময়বাবু। এর আগে পর্ষদের প্রশাসক হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। অবশেষে গঙ্গোপাধ্যায় জমানা শেষ হল পর্ষদে।
অন্যদিকে শূধু কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বেশ কয়েকজন আধিকারিককেও রদবদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি কমিটিও রাজ্যের তরফে গিঠন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদে'র সমস্ত কাজ নজরে রাখবেন বলে জানা যাচ্ছে। একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখ পড়ছে তখন এহেন পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় কম নয়। শিক্ষক শুধু নয়, গ্রুপ ডি-সি'তে কর্মী নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতি সামনে এসেছে। আর তাতেও নাম জড়িয়েছে কল্যাণময়ের। ইতিমধ্যে তাঁর সমস্ত সম্পত্তির হিসাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, গোটা পরিবারের হিসাব তাঁকে দিতে হবে নির্দেশে জানিয়েছে আদালত।
এমনকি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৈরি প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটিও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নবান্নের। যদিও এই বিষয়ে সরকারের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমনকি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এহেন পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বড় পদক্ষেপ বলেই দাবি।