কী বলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাংসারিক জীবন যাপন তিনি করেন না। অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পড়েছেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী। একটা সময়ে টিএমসি ছেড়ে শোভন ঘোষণা করেছিলেন রত্না থাকতে তিনি আর টিমসিতে ফিরবেন না। কিন্তু নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শোভনের ৪০ মিনিটের বৈঠকের পর তাঁর ঘরওয়াপসির জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরেই রত্না মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, দল নেত্রী যদি শোভনকে ফেরাতে চান তাহলে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কারণ তিনি দলনেত্রী কথা মেনেই চলেন।
মাথা নত করেই আসতে হবে
বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেছেন, 'মাথা নত করে আসতে হচ্ছে ওদের। এটা আমার জয়'। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাম্পত্যের বিবাদ যখন চরমে উঠেছিল ঠিক তখনই শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন রত্না যতদিন টিএমসিতে রয়েছেন তিনি ততদিন ফিরবেন না। সেই তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে দেখে রত্না বলেছেন, 'রত্না চট্টোপাধ্যায় টিএমসি ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাঁকে টিএমসি করতে হলে রত্না চট্টোপাধ্যায়ক মনে নিয়েই আসতে হবে।'
মমতার সঙ্গে শোভনের বৈঠক
হঠাৎ করেই গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায় হাজির হয়েছিলেন নবান্নে। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে প্রায় ৪০ মিনিট শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় বৈশাখী জানিয়ে দেন যে শোভনের সঙ্গে মমতার একবারেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। তারপরেই শোভন-বৈশাখীর ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত টিমসিতই ফিরতে হচ্ছ শোভনকে ।
বৈশাখীকে নিশানা রত্নার
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরওয়াপসির জল্পনা নিয়ে মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তিনি। বিজেপিতে থাকার সময় বৈশাখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৎ মা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার পাল্টা জবাবে রত্না চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীকে গিরগিটি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে শোভনে সঙ্গে বৈশাখীও টিএমসিতে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ কয়েকদিন আগেই তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করায় ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন বৈশাখী।