রঞ্জি ফাইনালে নেই ডিআরএস:
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে অনন্ত ডিআরএস-এর ব্যবস্থান রাখা হবে এমনটা আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও করেনি বিসিসিআই। ডিআরএস না থাকার ফলেই মুম্বইয়ের সরফরাজ খান ক্লোজ লেগ বিফোর উইকেটের আপিল থেকে রক্ষা পান। মধ্যপ্রদেশের সিমার গৌরব যাদবের আপিএল ক্লোজ ছিল। ডিআরএস থাকলে মধ্য প্রদেশ তার সুবিধা নিতেই পারতো। রঞ্জি ফাইনালের পরবর্তী ম্যাচগুলিতেও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ডিআরএস। ২০১৯-২০ মরসুমে লিমিটেড ডিআরএস-এর ব্যবহার করেছিল বিসিসিআই। হক আই এবং আল্ট্রা এডজের সুবিধা ছিল না এই ডিআরএস-এ। ফলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের প্রধান দুই স্তম্ভের অনুপস্থিতিতে তা কার্যত হাস্য কর প্রয়োগ হয়ে দাঁড়ায়।
আম্পায়ারদের উপরে ভরসা রয়েছে:
'আমাদের আম্পায়ারদের উপর ভরসা আছে', এই বলেই দায় সাড়ছেন বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক। এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছেন, "ডিআরএস অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। ডিআরএস না থাকলেও বা কী যায় আসে! এটাই সময় আমাদের নিজেদের আম্পায়ারদের উপর ভরসা করার। ভারতের সেরা দুই আম্পায়ার এই ম্যাচ পরিচালনা করছেন। আপনি যদি এটা ফাইনালে ব্যবহার করতে চান, তা হলে রঞ্জি ট্রফির লিগ পর্যায়েও আপনি ডিআরএস চালু করতে চাইবেন।"
ক্রিকেটের উন্নতি কি আদৌ লক্ষ্য:
বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং তারাই বলছে রঞ্জি ট্রফির জন্য ডিআরএস-এর ব্যবস্থা করার মতো টাকা নেই! সত্যি হাস্যকর। কিছু দিন আগেই আইপিএল-এর সম্প্রচারকারী স্বত্ব বিক্রি করে কোষাগারে ৪৮,৩৯০ কোটি পুরেছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। সেখানে কী ভাবে দেশের শীর্ষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে এতটা উদাসীন হতে পারে বোর্ড। এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে, আদৌ ক্রিকেটের আরও উন্নতি উদ্দেশ্য নাকি পুরোটাই ব্যবসা।
রঞ্জি ফাইনালে কী অবস্থা দুই দলে:
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে। প্রথম সেশন শেষে মুম্বইয়ের রান ৩৭৪। সরফরাজ খান করেছেন ১৩৪ রান। অধিনায়ক পৃথ্বী শ করেছেন ৪৭ রান, যশস্বী জসওয়ালের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৮ রান। গৌরব যাদব পেয়েছেন চারটি উইকেট। তিনটি উইকেট পেয়েছেন অনুভব আগরওয়াল, দুইটি উইকেট পেয়েছেন সরনশ জৈন এবং একটি উইকেট পেয়েছেন কুমার কার্তিকেয়া।