উদ্ধব ঠাকরে'র নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে নাকি নয় তা একমাত্র বিধানসভার আস্থাভোটেই প্রমাণিত হবে! এমনটাই মন্তব্য করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ বৃহত আকার নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে এখনও উদ্ধব ঠাকরে থাকলেও ক্রমশ শিন্ডের দিকে বিদ্রোহী বিধায়কদের ভিড় বাড়ছে।
এই অবস্থায় দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন এনসিপি সুপ্রিমো।
আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শরদ পাওয়ার। সেখানে তাঁর আশা, মুম্বইতে বিদ্রোহী বিধায়করা ফিরে আসলে আরও একবার পরিস্থিতি বদলে যাবে। তবে মহারাষ্ট্র সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে কিনা তা একমাত্র বিধানসভাতেই প্রমাণ হওয়া সম্ভব বলেও দাবি এনসিপি সুপ্রিমো'র। তবে আস্থাভোটে শিন্ডের সঙ্গে থাকা বিদ্রোহী বিধায়কদেরও উপস্থিত থাকার কথাও তিনি জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে ৩৮ বিধায়কের দলবদল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রশ্নের মুখে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার প্রশ্নের মুখে। সেই সময় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে ৩৬ দিন ধরে রাজনৈতিক নাটক চলেছিল মহারাষ্ট্রে। দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ গোপনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।
কিন্তু এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেসের ঐক্য টলিয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। ফড়ণবীশকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। আর এরপরেই তৈরি হ্য মহাবিকাশ আগারী সরকার।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি'র মধ্যে নাম না করে শরদ পাওয়ার আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন অসম সরকার তলে তলে সাহায্য করছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে এমন অবস্থা আগেও দেখা গিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে এই পরিস্থিতি আমরা সহজেই কাটিয়ে উঠব। উদ্ধব ঠাকরে'র নেতৃত্বে সরকার চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে বিধায়কদের প্রথমে গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে অসমে। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ঠিক কারা রয়েছে তা উল্লেখ করতে চাননি এনসিপি সুপ্রিমো।
অন্যদিকে এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিলের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে;র কোনও জায়গা এখনও তৈরি হয়নি। মহাবিকাশ আগারীই এখনও ক্ষমতায় আছে সে রাজ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন এই নেতা। এমনকি সমস্ত বিধায়করা তাঁদের সঙ্গে আছে বলেও এদিন জানিয়েছেন জয়ন্ত পাটিল।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী'র পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরে'কে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্রোহী শিন্ডে। এমনকি খুব শিঘ্রই চিঠিও বিদ্রোহী বিধায়করা রাজ্যপালকে দেবেন বলেই খবর। আর এর মধ্যেই বিদ্রোহী ১২ বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন শিবসেনার তরফে।