হিমন্তকে নিশানা অভিষেকের
নিদারুণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত অসম। রাজ্যের দুর্গত মানুষদের দিকে না তাকিয় মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে মেতেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমে তাঁদের আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁদের আদর যত্ন ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে মেতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার টুইটে তীব্র নিশানায় বিঁধেছেন টিমসির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন,'অসম যখন ডুবছে, তখন বিজেপি সরকার দিল্লির নির্দেশে বিদ্রোহী বিধায়কদের আপ্যায়নে ব্যস্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা যদি মহারাষ্ট্র সরকার ফেলার কথা না ভেবে একটু বেশি করে বন্যা দুর্গতদের কথা ভাবতেন, তাহলে হয়তো ভাল হত।'
গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ টিএমসির
গুয়াহাটিতে শিবসেনা সাংসদদের যে হোটেলে রাখা হয়েছে সেই হোটেলের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় টিএমসি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ বিজেপি মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে। সেকারণে অসমে শিবসেনার বিদ্রোহীদের বিধায়কদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। হোটেলের সমানে টিএমসির তুমুল বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছিল সেখানে। জোর করে টিএমসি কর্মী সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজেপির ষড়যন্ত্রেই আগাড়ি সরকারের পতন
শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন এই অভিযোগ করেেছ শিবসেনাও। শিবসেনা মুখপত্র সামনায় বলা হয়েছে বিজেপির মদতেই আগাড়ি সরকারের পতন হয়েছে। বিজেপি নিজের কাজ উদ্ধারের জন্য বিদ্রোহী বিধায়কদের যত্ন করে হোটেলে রাখাহয়েছে। প্রয়োজন মিটে গেলেই তাদের আবার ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র। কারণ এটাই বিজেপির স্বভাব। এর আগেও একাধিক রাজ্যে এমনই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। তাই সেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সরকার থেকে সরে আসার বার্তা
এদিকে আগাড়ি সরকার থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। তিনি টুইটে এমনই লিখেছেন। এদিকে আবার একনাথ শিন্ডেকে দলনেতা দাবি করে রাজ্য পালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী ৩৭ জন বিধায়ক। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আরও চার শিবসেনা বিধায়ক একনাশ শিন্ডেকে সমর্থন জানিয়েছেন। তার থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার গড়বে।