মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মোড়
আর এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মোড়। নতুন করে আরও চার বিধায়ক গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছেন। বুধবার সকালেই তাঁরা পৌঁছন বলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে শিন্ডে সহ সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কই রয়েছেন গুয়াহাটি'র একটি বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে চার বিধায়কই পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মাঙ্গেশ কুদালকার, দিপাক বাসন্ত কেশরকার, সাদা সারভ্যাংকার এবং সঞ্জয় রাউথ।
দলনেত শিন্ডেই
চার বিধায়কের যোগদানের পর শিন্ডেকে সমর্থিত বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে সাত নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে তাঁরাও অসমের ওই হোটেলে আছে বলে জানা যাচ্ছে। নতুন করে একটি ভিডিও সামনে নিয়ে এসেছেন শিন্ডে। যেখানে সমস্ত বিধায়কদের সামনে বসে আসেন শিন্ডে। কার্যত সেই ভিডিওতে বিধায়কদের শিন্ডের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দলনেতা হিসাবে শিন্ডেকে বেছে নেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি'র সমর্থন রয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন শিন্ডে
অন্যদিকে এদিন তাঁদের সঙ্গে বিজেপি'র সমর্থন রয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন শিন্ডে। হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বিজেপি'র সমর্থনের কথা বলেন সেনার এই বিদ্রোহী বিধায়ক। বলেন, তাঁরা জাতীয় একটি দল। তাঁরা জানিয়েছে, আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ঐতিহাসিক। যখনই আমি তাদের ডাকব তাঁরা পাশে থাকার কথা জানিয়েছে বলে তাৎপর্যপূর্ণ দাবি শিন্ডের। যদিও এর আগে শিন্ডে জানিয়েছিলেন, বিজেপি'র তরফে কোনও প্রস্তাব আসেনি। এমনকি সরকার গঠন নিয়েও আলোচনা হয়নি কোনও।
দিল্লি উড়ে গিয়েছেন ফড়ণবীশ
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, মুম্বই থেকে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন ফড়ণবীশ। সম্ভবত অমিত শাহ, নাড্ডা'র সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী Dr.Ramdas Athawale বলেন, সেরাজ্যে জোট সরকার এখন সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে। যদি শিন্ডে বিজেপি'র সহযোগিতা চায় তাহলে খুব সহজেই সরকার সেখানে গঠন করা যাবে বলে দাবি তাঁর। শধু তাই নয়, সরকার গঠন হলে ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী এবং শিন্ডে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও এদিন দাবি করেছেন মোদীর মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী।