বিজেপিকে নিশানা অধীরের
দেশের সব রাজ্যে বিজেপি সরকারই থাকবে। বিরোধী মুক্ত দেশ গড়তে চাইছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র সংকট নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একের পর এক অবিজেপি রাজ্য গুলিতে থাবা বসাচ্ছে বিজেপি। এবং অবিজেপি সরকার ফেলার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ঘোড়া কেনাবেচা করে বিধায়কদের মোটা টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে বিজেপি। গোটা দেশে নিজেদের গেরুয়া শাসন কায়েম করতে চাইছেন গেরুয়া শিবির। অধীর চৌধুরী বলেেছন প্রথমে তাঁরা কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছিল এখন বিরোধী মুক্ত ভারত গড়তে চাইছে তারা।
টার্গেট অবিজেপি রাজ্য
২০১৮-র লোকসভা ভোটের পর থেকেই একের পর এক অবিজেপি রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে চলেেছ বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে একই উপায়ে ঘোড়াকেনা বেচা করে সিন্ধিয়াকে দলে টেনে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়েছে বিজেপি। কর্নাটকেও কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন ঘটাতে একই পন্থা নিয়েছিল তাঁরা। রাজস্থানে পাইলটকে ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল তাঁরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠতে পারেনি। তাই মহারাষ্ট্রের আগাড়ি সরকারকে টার্গেট করেছে বিজেপি। একই পন্থায় শিন্ডেকে ভাঙিয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং জোট সরকারের পতন ঘটাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
পদত্যাগের পথে উদ্ধব
শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনায় সফল হতে চলেেছ বিজেপি। গত ২ দিনের টানা পোড়েনের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে। বিকেল পাঁচটায় ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করবেন তিনি।করোনা আক্রান্ত উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়াল যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসেনি বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা। সূত্রের খবর শিন্ডে উদ্ধবকে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
বিদ্রোহী শিন্ডে সব ৪০ জন
বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন একনাথ শিন্ডে সহ শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক। গতকাল থেকেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা যায় তাঁরা সুরাতে একটি রিসর্টে রয়েছে। সেখানে শিবসেনার পক্ষ থেকে দূত পাঠানো হয়েছিল। তাতে খুব একটা চিড়ে ভেজেিন। শেষে রাতারাতি শিন্ডে সহ ৪০ জন শিবসেনা বিধায়ককে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অসমে। এখনও সেখানেই রয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে শিন্ডেদের।