হুমকি আগেই দেওয়া হয়েছিল এবার সেটা বাস্তবে করে দেখানো হল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী মঙ্গলবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে, রিনিকি ভুইয়া শর্মা গুয়াহাটির কামরূপের সিভিল জজ কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে ৪ জুন আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া অভিযোগ তুলেছিলেন যে অসম সরকার মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সংস্থা এবং ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ২০২০ সালে যখন দেশ করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেই সময় তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পিপিই কিট সরবরাহের জন্য তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদারি সংস্থাগুলিকে বাজারের থেকে বেশি দামে সরকারি বরাত দিয়েছিলেন। যদিও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা পিপিই কিট সরবরাহ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দেন। রিনিকি ভুইয়া শর্মার আইনজীবী পদ্মধর নায়ক জানিয়েছেন যে বুধবার এই মামলাটি তালিকাভুক্ত হওয়ার আশা তাঁরা করছেন এবং এরপরই তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
আপ নেতার অভিযোগ তোলার পর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজের সাফাই দিতে গিয়ে বলেন, 'এমন এক সময় যখন পুরো দেশ ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মহামারির সম্মুখীন হয়েছিল, তখন অসমের কাছে খুব কম সংখ্যক পিপিই কিট ছিল। আমার স্ত্রী সেই সময় এগিয়ে আসার সাহস দেখিয়েছিল এবং জীবন বাঁচাতে সরকারকে ১৫০০ পিপিই কিট বিনামূল্যে দান করে। সে একটা পয়সাও নেয়নি।' পিপিই কিট সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ায় শর্মা জানান যে পিপিই কিট সরকারকে উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর স্ত্রীয়ের সংস্থা এর জন্য কোনও রসিদ দেয়নি। প্রসঙ্গত, সিসোদিয়া এনএইচএম-অসম মিশন ডিরেক্টর এস লক্ষ্মনের কাছ থেকে জেসিবি ইন্ডাস্ট্রিজকে সম্বোধন করা একটি বিল ট্যাগ করে টুইট করেছিলেন।
তবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী সিসোদিয়ার অভিযোগ খারিজ করে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, 'মহামারির প্রথম সপ্তাহে, অসমে একটাও পিপিই কিট ছিল না। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, আমি একজন ব্যবসায়িক পরিচিতের কাছে পৌঁছাই এবং অনেক প্রচেষ্টার পর প্রায় ১৫০০টি পিপিই কিট এনএইচএমে পৌঁছে দিই। পরে, আমি আমার সিএসআরের অংশ হিসাবে একই আচরণ করার জন্য এনএইচএমকে চিঠি দিয়েছিলাম।' শর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুইয়া শর্মা বলেন, 'এই সরবরাহের জন্য আমি একটা পয়সাও সরকারের কাছে দাবি করিনি। আমি আমার স্বামীর রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সমাজকে কিছু দেওয়ার বিষয়ে আমার বিশ্বাস সম্পর্কে সর্বদা স্বচ্ছ ছিলাম।'