রুমেলির অবসর
দেশের হয়ে রুমেলিকে শেষ ম্যাচে খেলতে দেখা গিয়েছে ২০১৮ সালে। মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্নে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৫ সালের মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ৯৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলে ছিলেন রুমেলি। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি ২০ বিশ্বকাপে যুগ্ম সর্বাধিক উইকেটশিকারীও হয়েছিলেন বঙ্গতনয়া এই অলরাউন্ডার। চার ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট, ইকনমি রেট ৪.৭৮।
২৩ বছরের কেরিয়ার
ক্রিকেট খেলা শুরুর পর ২০০৫ সালে দিল্লিতে ইংল্যান্ডের মহিলা দলের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন রুমেলি। শেষ টেস্ট খেলেন ২০০৬ সালে। একদিনের আন্তর্জাতিকে রুমেলির অভিষেক হয় ২০০৩ সালে, ভারতের মহিলা দলের হয়ে শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেন ২০১২ সালে। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক, ২০১৮ সালে শেষ টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলেন। রুমেলির শেষ টেস্ট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি ২০ আন্তর্জাতিক শেষবার খেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। ৩৪ বছর বয়সে ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে কামব্যাকও করেছিলেন রুমেলি।
এবার কোচিংয়ে
আজ অবসর ঘোষণা করতে গিয়ে রুমেলি ধর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, শ্যামনগর থেকে আমার ২৩ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু। আজ ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকেই অবসর ঘোষণা করছি। এই যাত্রাপথে চড়াই-উতরাই এসেছে। সেরা বিষয়টি আমার কাছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং ২০০৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ারও সুযোগ পেয়েছি। ক্রিকেটার কেরিয়ারে চোট-আঘাতের সমস্যা এলেও তা জয় করে কামব্যাকও করেছি। আজ নিজের ভালোবাসার খেলাকে বিদায় জানাচ্ছি। পরিবার, বিসিসিআই, আমার বন্ধুদের পাশাপাশি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাব বাংলা, রেলওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, দিল্লি, রাজস্থান ও অসম যেভাবে আমার প্রতি আশ্বাস রেখেছে সেখানকার সকলের প্রতি। নিজের সেরাটা উজাড় করে খেলেছি এবং তারই ফলে দেশের হয়েও খেলার সুযোগ পেয়েছি। রুমেলি জানিয়েছেন, খেলা ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে না। তিনি উঠতি প্রতিভাদের বিকাশের লক্ষ্যে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে। অর্থাৎ রুমেলি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে কোচিং কেরিয়ার শুরু করতে চলেছেন।
নজরে পরিসংখ্যান
চারটি টেস্টে ২৩৬ রান করার পাশাপাশি রুমেলি ৮টি উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে একটি অর্ধশতরান রয়েছে, সর্বাধিক স্কোর ৫৭। ৭৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৯৬১ রান করেছেন, ৬টি অর্ধশতরান রয়েছে, সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৯২, বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ৬৩টি। মহিলাদের টি ২০ আন্তর্জাতিকে ১৮টি ম্যাচে ১৩১ রান করেছেন, সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৬৬। ১৩টি উইকেট নিয়েছেন টি ২০ আন্তর্জাতিকে। মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিকে আটে নেমে অপরাজিত ৯২ রান করেছেন, যা রেকর্ড। আটে নেমে মহিলাদের টি ২০ আন্তর্জাতিকে তাঁর করা অপরাজিত ৬৬ রানও একটি রেকর্ড।