চমকপ্রদ পদক্ষেপ
মুর্মুর মনোনয়ন ক্ষমতাসীন সরকারের একটি চমকপ্রদ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তার মনোনয়ন সম্পর্কে কারোরই ধারণা ছিল না, আসলে, তার নাম ২০১৭ সালেও শীর্ষ সাংবিধানিক পদের জন্য বিজেপির সম্ভাব্য পছন্দের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পাঁচ বছর আগে দলিত রাম নাথ কোবিন্দকে শীর্ষ পদে উন্নীত করার পরে বিজেপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছিল। এবারও তেমন কিছু ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা জানতেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থী সবার জন্য চমক হবে। ঘোষণার আগে পর্যন্ত কেউ জানত না যে কে হতে পারে এই প্রার্থী? ঘটনা হল গেরুয়া পার্টি ভারতের শীর্ষ পদের জন্য সবসময়েই চমক সৃষ্টি করেছে।
এ পি জে আব্দুল কালাম
যদিও, বিজেপি ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করেছিল, কিন্তু দলটি ২০০২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি মনোনীত করার সুযোগ পেয়েছিল এবং তাঁরা বিস্ময়কর কাজ করেছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকার একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছিল, যা কেউ কল্পনাও করেনি। সেই সময়ে ক্ষমতায় থাকা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বলেছিল যে তারা কালামকে মনোনয়ন দেবে এবং সমাজবাদী পার্টি এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি উভয়ই তার প্রার্থীতাকে সমর্থন করেছিল। কালাম কে আর নারায়ণনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৮৮৪ ইলেক্টোরাল ভোটে জয়ী হন, হারান লক্ষ্মী সেইগলকে। তিনি ২০০২ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।
রামনাথ কোবিন্দ
২০০২ এর মতো এবারও বিজেপির পক্ষ থেকে একটি চমকপ্রদ নাম আসে। এনডিএ-এর প্রার্থী রাম নাথ কোবিন্দ বিপুল ভোটে জিতে ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কোবিন্দ বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমারকে পরাজিত করেন, যিনি প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার ছিলেন। পেয়েছিলে ৬৫.৬৫ শতাংশ ভোট। বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল কোবিন্দ ছিলেন দ্বিতীয় দলিত এবং প্রথম বিজেপি সদস্য যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্রৌপদী মুর্মু
মুরমুপ্রাক্তন ঝাড়খণ্ডের গভর্নর। তিনি নির্বাচিত হলে প্রথম উপজাতীয় মহিলা হবেন যিনি শীর্ষ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাঁর রাষ্ট্রপতি হবার সম্ভাবনা প্রচুর, কারণ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) পক্ষে রয়েছে৷ ওড়িশার অন্যতম পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ময়ূরভঞ্জ থেকে আসা এই নেতা, দলের বিভিন্ন পদে ছিলেন। পদমর্যাদার মাধ্যমে উঠে এসেছেন এবং বিজেপি জোটে থাকাকালীন রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সরকারে।