উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সামনে কার্যত বিপদের ঘণ্টা বাজছে। কারণ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের এক ঝাঁক বিধায়ক যাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না , জানা যাচ্ছে তাঁরা এখন বসে রয়েছেন অনাতিদুর সুরাতে। মহারাষ্ট্র থেকে তাঁরা একটু এগিয়ে পাশের রাজ্য গুজরাতে বসে রয়েছেন।
আর এর অর্থ খুব স্পষ্ট। তাঁরা সম্ভবত দল পরিবর্তন করতে চলেছেন। এবার স্বাভাবিকভাবেই যদি খান দশ বারো বিধায়ক যদি আচমকা অন্য দলে চলে যায় যে কোনও সরকারের ভিতে আঘাত পড়বে। ঠিক সেটাই হয়েছে। সবমিলিয়ে মহা আঘাদি জোটের সরকারের ভিতে যে বিশাল বড় পদ্মমার্কা হাতুরির আঘাত পড়েছে তা বলা যেতেই পারে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং শীর্ষ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্দে অন্য ১৩ জন দলীয় বিধায়কের সাথে গুজরাটের সুরাতের একটি হোটেলে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছেন। এঁরা গতকাল আচমকা একসঙ্গে বিধান পরিষদ নির্বাচনের পরেই কার্যত উবে যান বলে খবর মিলছে। বোঝা যাচ্ছিল না এঁরা কোথায় রয়েছেন। শেষে তাঁদের খবর মিলেছে এবং জানা গিয়েছে তাঁরা তাঁদের সুন্দর 'সুরত' নিয়ে খুবসুরত সুরাতে বসে রয়েছেন। পদ্মের জঙ্গল থেকে তাঁরা বাণ মারলেন বলে। এটা এখন শুধু বলা যেতেই পারে সময়ের অপেক্ষা।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন যে "মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো একই প্যাটার্নে" উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।" তিনি বলেন, "শিবসেনা অনুগতদের দল। আমরা তা হতে দেব না।"
সূত্র বলছে যে শিন্ডে নাকি দলের উপর বিরক্ত। পালঘরের বিধায়ক শ্রীনিবাস বঙ্গ, আলিগড়ের বিধায়ক মহেন্দ্র ডালভি এবং ভিওয়ান্দি গ্রামীণ শান্তরাম মোরেও দল পরিবর্তন করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।বিজেপির সূত্র দাবি করেছে যে শিন্দের সাথে ১৩ জন সেনা বিধায়ক ছাড়াও সুরতের হোটেলে পাঁচজন স্বতন্ত্র বিধায়কও রয়েছেন।
মহা বিকাশ আঘাদি শাসক জোট এবং বিজেপি বিধান পরিষদ নির্বাচনে পাঁচটি করে আসন জিতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ঘটনার খবর আসে শিব সেনার কাছে। বিরোধী দল বিজেপি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জিতেছে। ক্ষমতাসীন জোটের জন্য ধাক্কা খেয়ে হেরে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী চন্দ্রকান্ত হান্দোর।
রাউত বলেছেন, "একনাথ শিন্ডে হোটেলে আমাদের সাথে ছিলেন এবং এমভিএ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তার সাথে কথা না বলা পর্যন্ত কিছু বলতে পারি না," । তিনি যোগ করেছেন যে তারা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সাথে কথা বলেছেন, যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বৈঠকের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, শিন্ডে আজ দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে পারেন। ঘটনা হল ২০১৪ সালে শিবসেনা বিজেপির সাথে বিচ্ছেদের পর তাঁকে বিরোধী দলের নেতা মনোনীত করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে বিজেপির শীর্ষ নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস দিল্লি পৌঁছেছেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এসবের পরেও এনসিপি'র মুখপাত্র মহেশ তাপসে বলেছেন যে মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের ভবিষ্যত "সম্পূর্ণ নিরাপদ"।