কোথায় এই ঘটনা ঘটে ?
চরমপন্থীদের দল রাজধানী মালেতে আয়োজিত যোগ দিবস উদযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়। মঙ্গলবার সকালে এক দল ক্ষুব্ধ জনতা মালদ্বীপের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং সেখানে চলছিল যোগব্যায়াম এবং ধ্যান। সাত সকালের সুস্থ পরিবেশকে তারা নষ্ট করে এবং যোগব্যায়াম এবং ধ্যানে বাধা দেওয়ার জন্য এগিয়ে যায়।
ঠিক কী ঘটে সেখানে ?
যুব, ক্রীড়া এবং সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের সহযোগিতায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে যোগ এবং ধ্যানের অনুষ্ঠান চলছিল সেখানে। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় যোগক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে তারা আর ধ্যান চালিয়ে যেতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ কী ?
যারা যোগের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তারা অভিযোগ করেছেন যে,
বিক্ষোভকারীরা যোগব্যায়াম অংশগ্রহণকারীদের স্টেডিয়াম খালি করতে এবং অবিলম্বে সেই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলে। এদিকে, কিছু অংশগ্রহণকারী অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বলা যেতে পারে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই বন্ধ হয়ে যায় যোগ অনুষ্ঠান।
পুলিশকে নামতে হয়
অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যায়। পরিস্থিতি শারীরিক সংঘর্ষে রূপ নেওয়ার আগেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর হয়। দ্রুত তাদের ওই এলেকা থেকে হঠিয়ে ফেলতে মাঠে কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই বছরের যোগ দিবস উদযাপনের থিম হল "মানবতার জন্য যোগ" এবং সারা বিশ্বে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করলেন এতে। সকলের জন্য ভালো স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য যোগব্যায়ানের গুরুত্ব বিপুল। সোনোয়াল সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন। যোগ দিবস যাতে একদম গ্রামে গ্রামে উদজাপিত হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ৬ মে সমস্ত গ্রাম প্রধানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন।
এদিন যোগ অনুষ্ঠান সকাল ৩টে শুরু হয় এবং রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে। ফিজি, ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো এবং কানাডার টরন্টোতে শেষ হবে। বিদেশে ভারতীয় মিশনের সমর্থনের সাথে ৭৯টি দেশ এবং রাষ্ট্রসংঘের সংস্থাগুলি এই প্রোগ্রামের অংশ নেবে৷ অনুষ্ঠানটি ১৬টি সময় অঞ্চলের জন্য ডিডি ইন্ডিয়াতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।