যশোবন্তেই সমর্থন বাড়ছে
সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তার তোর জোর চলছে উভয় শিরিবেই। আজই আবার শাসক এবং বিরোধী দুই শিবিরেই রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী চূড়ান্ত করার বৈঠক রয়েছে। বিশেষ নজরে রয়েছে বিরোধীদের বৈঠক। মোটের উপর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিকই করে ফেলেছেন বিরোধীরা। এখন কেবল নাম ঘোষণার অপেক্ষা। সূত্রের খবর প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিেসবে বাছাই করেছে বিরোধীরা। তাঁর প্রতি সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলের বেশির ভাগ নেতা এবং সাংসদের।
সম্মত যশবন্ত সিনহাও
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদর প্রার্থী হতে রাজিও হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। তাঁকে অনেক বিরোধী দলের নেতাই প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফোন করেছিলেন। এমন কি টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এই নিয়ে ফোন গিয়েছে। সূত্রের খবর যশবন্ত সিনহা নাকি বিরোধী দলের নেতাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপি ছেড়ে টিএমসিতে যোগ দেন।
মমতাকে ধন্যবাদ
মোদী-শাহের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে এক প্রকার দূরে সরে গিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তিনি টিএমসিতে যোগ দেন। এবং ঘাসফুল শিবির তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিল। তারপর থেকে টিএমসির সদস্য হয়েই কাজ করছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে আবার টিএমসি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। িকন্তু রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর প্রস্তাব আসার পর আবার সরাসরি টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। টুইটে যশবন্ত সিনহা লিখেছেন রাষ্ট্রপতি পদের জন্য যে তাঁকে ভাবা হয়েছে তার জন্য তিনি বিশেষ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে ধন্যবাদ জানান।
কাদের কাছে গিয়েছিল প্রস্তাব
রাষ্ট্রপতি পদের বিরোধীদের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রথম প্রস্তাব গিয়েছিল শরদ পাওয়ারের কাছে।কিন্তু নসিপি সুপ্রিমো তাতে রাজি হননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দিল্লি গিয়ে শরদ পাওয়ারের কাছে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শরদ পাওয়ারের পর প্রস্তাব যায় গোপাল গান্ধীর কাছে। তিনিও বিরোধীদের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। তিনি জানান যে এই পদে তিনি লড়তে চান না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পরাজিত হন।